বন্ধুদের হাতেই গণধর্ষণের শিকার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী - Aaj Bikel
বন্ধুদের হাতেই গণধর্ষণের শিকার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী

বন্ধুদের হাতেই গণধর্ষণের শিকার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী

Share This

সোনারপুর : বন্ধুদের হাতেই গণধর্ষণের শিকার এক স্কুল ছাত্রী। মদ খাইয়ে নিজেদের বান্ধবীকে একের পর এক ধর্ষণ করে উৎপল, অর্ঘ্য ও টুয়া নামে তিন বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার রথতলা এলাকায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয়রা দ্বাদশ শ্রেণীর ঐ ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সুভাষগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। 


ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পর উৎপল ও অর্ঘ্য পালিয়ে গেলে ও টুয়া নামে ঐ কিশোরকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। বন্ধুরা জোর করে ঐ কিশোরীকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করেছে না ঐ ছাত্রী স্ব-ইচ্ছায় বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরে অবশ্য বাকি তিন অভিযুক্তকে আটক করে সোনারপুর থানার পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে বাড়ি ফাঁকা ছিল নিমাই গায়েনের। সেই সুযোগে তাঁর বাড়িতেই ভাইপো উৎপল ও তাঁর দুই বন্ধু এক বান্ধবী মিলে মদের আসর বসিয়েছিল। রাত ন’টা নাগাদ নিমাই বাবু বাড়ি ফিরলে বাথরুমের মধ্যে এক কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। উৎপল সেই সময় বাড়িতে না থাকলেও অর্ঘ্য ও টুয়া নামে আরও দুজনকে বাড়িতে দেখতে পান। তাদের কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার আগেই পালিয়ে যায় দুজন। এদের মধ্যে টুয়াকে ধরে ফেলেন স্থানীয় মানুষজন। অন্যদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই সোনারপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। রাতেই সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।

পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে সোনারপুর থানার পুলিশ।সেখান থেকে চারটি মদের গ্লাস,বোতল সহ আরও বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান চার বন্ধু মিলে একসাথে মদ খাওয়ার পর ওই কিশোরীকে একের পর এক বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে। ঘটনায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এই ঘটনায় টুয়াকে আটক করেছে পুলিশ। পরে বাকি দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ অন্যদিকে ঐ কিশোরীর পরিবারের দাবী মঙ্গলবারবিকেলে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাওয়ার নাম করেই বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল ঐ কিশোরী।

কোন মন্তব্য নেই: