ঝাড়্গ্রাম : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা যখন ভুরি ভুরি অভিযোগ করছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তখন জঙ্গলমহলে সিপিআইএমের প্রধান শত্রু সিপিআইএম এবং বিজেপি বলে দাবি সিপিএমের জেলা স্তরীয় নেতাদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়্গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কোনও আসনে একটিও প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিআইএম।
উল্লেখ্য দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এক সময়ের দাপুটে সিপিআইএমের নেতা বাদল রানাকে গত রবিবার দল থেকে বহিস্কার করেছে জেলা নেতৃত্ব। সিপিএমের এই দাপুটে নেতাকে বহিস্কার করায় আরও বেশি করে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে দলের অভ্যন্তরে। জঙ্গলমহলের ঝাড়্গ্রাম জেলার আটটি ব্লকে সিপিএম একেবারে ক্যালেন্ডার হয়ে গিয়েছে।
এই নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী কাকে দাঁড়করাবে তাই সিদ্ধান্ত করে উঠতে পারেননি। দু একটি ব্লকে সন্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে শুধুমাত্র পেছনের সারিতে নাম লিখিয়েছে মাত্র। এহেন ভরা ডুবির কালে সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলাকমিটির সদস্য ও সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সদস্যকে বহিষ্কার করায় জঙ্গলমহলে চরম বেয়কাদায় পড়ে গিয়েছে দল। সিপিআইএম সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিআইএমের নিচুতলার নেতা কর্মীরা থেকে শুরু করে একটা বড় মাপের অংশ সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। সেই দলত্যাগী সিপিআইএম ও বিজেপির নেতা কর্মীরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএমকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে সবচেয়ে বেশী বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সাকরাইল ব্লকে গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দিতে না পারায় নির্বাচনের প্রাক্কালে ঝাড়গ্রাম জেলাকমিটির সদস্য ও সাকরাইল জোনাল কমিটির সদস্য বাদল রানাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছে সিপিআইএম।
সিপিআইএম সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতা অনুযায়ী মোটা টাকার বিনিময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলের সবচেয়ে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিপিআইএম ছেড়ে যাওয়া বিজেপির নেতা কর্মীরা। এবিষয়ে ঝাড়্গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিন বিহারী বাস্কে তাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আমাদের নীচু তলার একটা বড় অংশ দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এখন সেই সব বিজেপি কর্মীরায় আমাদের বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু আমাদের দলের নেতাকর্মীরায় দলের প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হতে চাইছে না। এই অবস্থার জন্য আমরা জেলার সব কটি আসনে প্রার্থী দিতে পারিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন