আজ বিকেল: তিনি স্কুল শিক্ষক৷ চলবে-বলনে আপাদমস্তক শিক্ষক বলেই চেনেন গ্রামের লোক৷ কিন্তু, দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি নিম্ন মেধার শিক্ষক৷ মাধ্যমিকে ৩৯.০৬ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৩১ শতাংশ নম্বর পেয়ে ও দিব্বি ছাত্র পড়িয়ে সরকারের ঘর থেকে মাসে মাসে উপার্জন করছেন শিক্ষক৷
শিক্ষা ও চাকরির সমস্ত আপডেট পেতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন৷
সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনলেন টেটে পরীক্ষার্থীরাই৷ ‘টাকা’ বিনিময়ে কম বেধার চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা৷
চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
অভিযোগ, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া শিক্ষকের মাধ্যমিকে প্রাপ্ত ৩১৭ নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিকে হাজারের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ৩১৩৷ শতাংশের হিসাব বলছে ৩১ শতাংশ৷ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় ডিভিশনে কোনোক্রমে পাস করা নিম্ন মেধার এমন একজন প্রার্থী কীভাবে টেট পাশ করে চাকরি বাগালো? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ এই কাণ্ডের পেছনে টাকার খেলাকেই দায়ী করেছেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ৷
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘‘রাজ্যটাকে শেষ করতে আর বেশি সময় লাগবে না৷ কারণ দেশ বা রাজ্যের মূলভিত্তি শিক্ষা৷ আর সেটাই এখন দুর্নীতিগ্রস্ত৷ যাঁরা চা প্লেট ধোয়ার যোগ্য, তারা ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষকতার চেয়ারে বসেছে৷ রাজ্যটাকে বাঁচানোর দায়িত্ব সবার! এই রকম নিম্ন শতাংশের শিক্ষকসম্প্রদায় কি পড়াবে বাচ্চাদের? যারা নিজেরাই কিছু জানে না, তারাই শিশুদের পড়াবে?আপনারা ভাবুন, উপযুক্ত শিক্ষকের প্রয়োজন আছে কিনা! যারা ঘুষ দিতে পারে না তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করছে না কেন সরকার?যেমন ২০০৯ এর প্রতিটা প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের হার ৬৪ শতাংশ থেকে ৯০ শতাং৷ কিন্তু ঘুষ দেয়নি বলে আজ তারা অনশন মঞ্চে ২১ দিন ধরে অনশন করছে৷ অনেকে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি৷ অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার ছেলেমেয়েরা অর্ধনগ্ন হয়ে রাস্তায় নেমেছে৷ যারা যোগ্য, তারাই আজ মাঠে ঘাঠে, অনশন মঞ্চে, কেন? তাহলে ভাবুন, যারা চাকরির যোগ্য তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, আর যারা যোগ্য নয় তারা শিক্ষকতার চেয়ারে! সারা পশিমবঙ্গে অযোগ্য ছেলেমেয়েরা শিক্ষকতা করছে শুধু একটাই কারণ তারা ১০ লক্ষ টাক করে ঘুষ দিতে পেরেছে৷ আপনাদের ছেলেমেয়েদের যে শিক্ষা পাওয়ার কথা, বাস্তবে কিন্তু পাচ্ছে না৷ তার কারণ, শিক্ষকদের মান৷’’
[ শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অর্ধনগ্ন অবস্থান! উঠল গুরুতর অভিযোগ ]
[ ‘আপনাকে আমরা আর শিক্ষামন্ত্রী পদে সহ্য করতে পারছি না’ ]
[ SSS-র 'মরা নদী'তে এখনও স্বপ্ন দেখছেন হাজার 'শিক্ষক' ]
[ ‘মুকুল দা প্লিজ কিছু করুন!’ অনশন মঞ্চে চাকরি-প্রার্থীদের করুণ আর্জি ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন