আজ বিকেল: ফের রাজ্যে বড়সড় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন খোদ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির পর এবার গ্রুপ ডি’র নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শহর কলকাতার রাজপথ কাঁপাতে চলেছেন গ্রুপ ডি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ৷
শিক্ষা ও চাকরির সমস্ত আপডেট পেতে ‘facebook.com/Aajbikal/’ ফেসবুক পেজ লাইক করুন৷
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও লাগাতার চলছে গ্রুপ-ডি পদে কর্মী নিয়োগের ইন্টারভিউ৷ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ গ্রুপ-ডির ইন্টার্ভিউ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয় গ্রুপ-ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড৷ অভিযোগ, রাতারাতি ওই বিজ্ঞপ্তি মুছে দিয়ে আগামী মে মালের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড৷
পূর্ণাঙ্গ মেধাতালিকা প্রকাশ করা নিয়ে বোর্ডের দ্বিমুখী নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ উঠেছে বিতর্কের ঝড়৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বিতর্কের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছে৷ সম্প্রতি বাংলার একটি প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনীবিধি অনুযায়ী লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে হয়ে গেলেও এখনই প্রকাশিত হবে না গ্রুপ-ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চূড়ান্ত মেধাতালিকা৷ কিন্তু, অভিযোগও, ইন্টার্ভিউ প্রক্রিয়া শেষ করে মেধাতালিকা তৈরির তোড়জোড় শুরু হওয়ার মাঝে ফের বেশ কয়েকজনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাঠিয়েছে বোর্জ৷ আগামী ১৭ এপ্রিল সকাল ১০টায় সল্টলেকের জলসম্পদ ভবনের বোর্ডের দফতরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে৷
আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বির্তক৷ ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার ঘোষণার পর কেন নতুন করে ১৭ এপ্রিল চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হল? এর পেছনে রয়েছে কি কোনও দুর্নীতি? চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, গ্রুপ-ডি পদে চাকরির জন্য ২৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল৷ ২০১৭ সালের ২০ মে ১৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেন। গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সফল প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে ১৯ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ নিতে বোর্ডের সময় লেগে গেল ছ’মাস? নাকি, সফল চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে কর্মী নিয়োগের চোরাগোপ্তা কারবার চলছে? এমনিতেই, এসএমএস পাঠিয়ে রাজ্যে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে বারংবার কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে রাজ্যকে৷ ‘এখন তো এসএমএসেই চাকরি হচ্ছে!’ বলেও উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট৷ তবে, ভর্ৎসনা শুনতেও এসএমএসের মাধ্যমে নিয়োগ এখনও বন্ধ হয়নি৷
মূলত, গ্রুপ ডি পদে কর্মী নিয়োগের জট বাধার পেছনে এসএমএসের ভূমিকা রয়েছে বলেও মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ গ্রুপ-ডি পদে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আজ, শুক্রবার পথে নামতে চলেছে চাকরিপ্রার্থীরা৷ আজ সকাল ১০টায় উল্টোডাঙার হিডকো মোড় থেকে জলসম্পদ ভবন অর্থাৎ গ্রুপ ডি অফিস পর্যন্ত একটি মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে৷ পাঁচ দফা দাবিতে আজ গ্রুপ ডি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিরও ডাক দেওয়া হয়েছে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন