যোধপুর: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে বলিউড তারকা সোনালী বেন্দ্রে, সইফ আলি খান, তব্বু, নীলম এই চার তারকাকে | এই রায়ের বিরুদ্ধে ফের আদালতে আবেদন করতে চলেছে বিষ্ণোই সভা।
দীর্ঘ দুই দশক পর কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার রায় দিল যোধপুর আদালত | ৫ বছরের কারাদণ্ডের হল অভিনেতা সলমন খানের | তবে এই মামলায় বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে বলিউড তারকা সোনালী বেন্দ্রে, সইফ আলি খান, তব্বু, নীলমদের । সেদিন তাঁরা সলমনের সঙ্গে থাকলেও আসল দোষী ছিলেন সলমনই, এমনটাই রায় আদালতের। যদিও সেফ, নীলম, তব্বু, সোনালীকে নির্দোষ ঘোষণা ভাল ভাবে নেয়নি বিষ্ণোই সভা। চার বলিউড তারকাকে বেকসুর ঘোষণা করার রায়ের বিরুদ্ধে তারা ফের আবেদন করবে বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ দুই দশক পর কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার রায় দিল যোধপুর আদালত | ৫ বছরের কারাদণ্ডের হল অভিনেতা সলমন খানের | তবে এই মামলায় বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে বলিউড তারকা সোনালী বেন্দ্রে, সইফ আলি খান, তব্বু, নীলমদের । সেদিন তাঁরা সলমনের সঙ্গে থাকলেও আসল দোষী ছিলেন সলমনই, এমনটাই রায় আদালতের। যদিও সেফ, নীলম, তব্বু, সোনালীকে নির্দোষ ঘোষণা ভাল ভাবে নেয়নি বিষ্ণোই সভা। চার বলিউড তারকাকে বেকসুর ঘোষণা করার রায়ের বিরুদ্ধে তারা ফের আবেদন করবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজস্থানে ৫৫০ বছরের প্রাচীন জনজাতি এই বিষ্ণোই। প্রকৃতিকে তারা দেবজ্ঞানে পুজা করেন। আর সেই প্রকৃতির সন্তান হল হরিণ শিশুরা। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই হরিণকে ভক্তি করেন এবং এটি রক্ষায় কাজ করে থাকেন।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণসার হত্যাকাণ্ডের জন্য সলমনকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই | কাকতালীয়ভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মলখান সিং বিষ্ণোই ২০১১ সাল থেকে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে | আজ ওই একই জেলেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে সলমনকেও |
ঘটনা প্রসঙ্গে বিষ্ণোই জনজাতির একটি ঘটনা যা মানুষের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়ে ছিল...সম্প্রতি বিখ্যাত শেফ বিকাশ খন্না নিজের ইনস্টাগ্রামে ভারতের রাজস্থানের এক বিষ্ণোই নারীর একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে এক হরিণ শাবককে স্তন্যপান করাতে। আহত, অসহায় হরিণ শাবকটিকে দেখে তার মন কেঁদে উঠেছিল। দলছুট শাবকটিকে নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন। তার পর থেকে সন্তান স্নেহে লালনপালন করছেন তাকে। নিজের সন্তানের মতো হরিণ শাবকটিকে স্তন্যপানও করান ওই নারী। শুটিংয়ের কাজে রাজস্থানে গিয়েছেন বিকাশ খান্না। তখনই হরিণ শাবকটিকে স্তন্যপান করানোর ছবিটা ক্যামেরা বন্দি করেন তিনি।
১৯৯৮ সালে হিন্দি সিনেমা হাম সাথ সাথ হ্যায়’র শুটিং চলাকালীন যোধপুরের কাছে কঙ্কনী গ্রামে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, সিনেমার শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সালমান। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সাইফসহ অন্যান্যরা। গাড়ির মধ্য থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সালমান। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে মামলাও দায়ের হয়। যার রায় বের হল আজ |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন