যোগ্যতা -বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে চরম সময়সীমা শিক্ষকদের - Aaj Bikel
যোগ্যতা -বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে চরম সময়সীমা শিক্ষকদের

যোগ্যতা -বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে চরম সময়সীমা শিক্ষকদের

Share This

কলকাতা:  প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপযুক্ত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ না থাকলে ২০১৯ -এর ১ এপ্রিল চাকরি চলে যাবে৷ সরকারি , সাহায্যপ্রান্ত স্কুল , মাদ্রাসা , এসএসকে , এমএসকে এবং সাহায্যহীন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরাও এর আওতায় পড়বেন৷ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (এলিমেন্টারি এডুকেশন -২) অনিতা কারওয়ালের ৩ অগস্টের নির্দেশিকায় স্পষ্ট , উপযুক্ত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের ২০১৯ -এর ৩১ মার্চের মধ্যে খামতি পূরণ করতেই হবে৷ তার জেরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শেষ বারের মতো ‘অনলাইনে ’ নাম নথিভুক্তিকরণে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর৷


  • পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৩০ অগস্ট এ ব্যাপারে বিজ্ঞন্তি জারি করেছে৷ রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক মিলিয়ে এমন শিক্ষকের সংখ্যা ৬০ হাজারেরও বেশি৷ অবশ্য বেসরকারি স্কুলের হিসাব স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে নেই৷  

  • প্রশিক্ষণহীন ও উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ % অথবা ৪৫ %-এর (সংরক্ষিত প্রার্থী ) কম মার্কস পাওয়া প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক -শিক্ষিকারা বিশদে জানতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলের (এনআইওএস ) ওয়েবসাইটে www.nios.ac.in গিয়ে http:/dled.nios.ac.in লিঙ্ক দেখতে পারেন৷ 
  • প্রথমে শিক্ষকদের নাম নথিভুক্তির সেকশনে ক্লিক করতে হবে৷ নিজের ই -মেল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে এনআইওএস ডিএলএডে নথিভুক্ত হতে হবে৷ 

  • যাঁদের উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পর্যান্ত মার্কস নেই , তাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারেন৷ তাঁদের আবার এনআইওএসে একই সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মার্কস বাড়াতে নাম লেখাতে হবে৷ সেই শিক্ষকরা এনআইওএস সিনিয়র সেকেন্ডারি কোর্সের স্ট্রিম - ১ অথবা ৪ -এ নাম লেখাতে পারেন৷

  • কোনও স্নাতক -উত্তীর্ণ শিক্ষকের যদি উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ % বা ৪৫ % (সংরক্ষিত প্রার্থী ) মার্কস থাকে , তাঁকে আর আপগ্রেডেশনের জন্য নাম লেখাতে হবে না৷  উচ্চমাধ্যমিকে পর্যান্ত মার্কস না পাওয়া পর্যন্ত কোনও শিক্ষককে ডিএলএড শংসাপত্র দেওয়া হবে না৷ 

  • যোগ্যতাহীন ও প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের নাম নথিভুক্তিকরণ চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে৷ 

  • সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকই অনলাইনে নাম নথিভুক্তিকরণে মান্যতা দেবেনপ্রশিক্ষণপ্রান্ত শিক্ষকদের এই কোর্সে নাম লেখানোর দরকার নেই৷ 

  • যে প্রাথমিক শিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষকরা ইতিমধ্যে দু’বছরের ডিএলএড কোর্সে দূরশিক্ষার মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন , তাঁদেরও আর নাম লেখানোর দরকার নেই ৬ ,০০০ টাকা (৪ ,৫০০ টাকা কোর্স ফি , ১৫০০ টাকা টিভি -তে প্রশিক্ষণ বাবদ )৷ সাড়ে চার হাজার টাকা অনলাইনে নাম নথিভুক্তির সময়েই দিতে হবেকোর্স ফি৷






কোন মন্তব্য নেই: