যশোহর রোড মামলার খরচ বেড়ে দ্বিগুণ ~Aaj Bikel - Aaj Bikel
যশোহর রোড মামলার খরচ বেড়ে দ্বিগুণ ~Aaj Bikel

যশোহর রোড মামলার খরচ বেড়ে দ্বিগুণ ~Aaj Bikel

Share This


আজ বিকেল:
যশোহর মামলার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পেশ না হওয়ায় মামলাকারীদের দ্বিতীয় দফায় ৩০ হাজার জরিমানা করেছে উচ্চ আদালত৷ এই নিয়ে মোট ৬০ হাজার টাকা আদালতে জমা দিতে হয়েছে মামলাকারিদের৷ মামলা চালাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ এই টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মামলাকারী গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি ও যশোহর রোড বাঁচাও কমিটির সদ্যরা৷

যশোহর রোড মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে আগেই দুই জন কোর্ট অফিসারকে নিযুক্ত করেছিল উচ্চ আদালত৷ যশোহর রোড সম্প্রসারণ ও গাছগুলি পর্যবেক্ষণ করতে বনগাঁয় আসেন আদালত নিযুক্ত দুই কোর্ট অফিসার, কৌশিক দে ও বিশ্বরূপ নন্দী৷ মামলার স্বার্থে নির্ধারিত দু’দিনের পরিবর্তে চার দিন পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা৷ আদালতের দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর রিপোর্ট জমা দিতে বিলম্ব হয়ে যায়৷ রাজ্য সরকার ও আদালত নিযুক্ত কোর্ট অফিসারদের দ্রুত যশোহর রোড মামলার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এরপরই গত দু’সপ্তাহ আগে যশোহর রোডের গাছগুলিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা যায় কি না, তা জানিয়ে ১৮০ পাতার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করেন কোর্ট অফিসাররা৷

পড়ুন আজ বিকেল পত্রিকার ওয়েব সংস্করণ


রিপোর্ট জমা দিতে বিলম্ব হওয়ায় মামলাকারীদের দ্বিতীয় দফায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়৷ গত শুনানিতে এই জরিমানা নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে দাঁড়িয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মামলা চালানোর জন্য বিপুল মরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা কঠিন বলেও মন্তব্য করেন৷

কিন্তু, আদালতের নিয়োম মেনেই এদিন মামলাকারীদের তরফে জরিমানার ৩০ হাজার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়৷ এই নিয়ে মোট ৬০ হাজার টাকা আদালতে জমা দিলেন মামলাকারিরা৷ আদালত সূত্রে খবর, কোনও মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য কোর্ট অফিসার নিয়োগ করে থাকে আদালত৷ যশোহর রোড মামলায় এই দু’ই কোর্ট অফিসারকে নিয়োগ করে আদালত৷ আদালত নিযুক্ত অফিসারদের বিশেষ সাম্মানিক দেওয়া হয়৷  সেক্ষেত্রে তাঁদের সাম্মানিক মেটাতে হয় মামলাকারিকেই৷ এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে৷ দু’দিনের পরিবর্তে চার দিন যশোহর রোড পরিদর্শন করার জেরে বাড়তি টাকা গুনতে হয় মামলাকারিদের৷ চলতি মাসের শুরুতেই কোর্ট অফিসার নিয়োগ করার জন্য প্রথমেই ৩০  হাজার টাকা জমা দিতে হয় মামলাকারিদের৷

আজ বিকেল পত্রিকার ফেসবুক পেজ

দু’দফায় মোট ৬০ হাজার টাকা খবর হওয়ায় বেশ সমস্যায় পড়েছেন মামলাকারিরা৷ সদস্যরা তাঁদের নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে এই মামলা চালাচ্ছেন৷ তবে, জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া কি সম্ভব?  প্রশ্ন তুলছেন এপিডিআরের সদস্যরা৷ তাঁদের দাবি, আদালতে চলতে থাতা এই ব্যবস্থা এখনই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন৷ কারণ, মামলা চালানোর খরচের সঙ্গে সঙ্গে বিপুল পরিমাণ টাকা পর্যবেক্ষকদের জন্য খরচ করতে হয় তবে, জনস্বার্থ মামলা করার ব্যাপারে উৎসাহ হারাবেন সাধারণ মানুষ৷

কোন মন্তব্য নেই: