নীল-সাদা রঙে আপত্তি। রাজ্যের স্কুলগুলিতে নীল-সাদা রং করার নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেই সময়সীমা ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু নির্দেশিকা পাওয়ার পরও নীল-সাদা রং করেনি অনেক স্কুল।
এ রাজ্যে একটানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল বামেরা। তবে সরকারি ভবনে লাল রঙ করার রেওয়াজ অনেক বছরের পুরানো। পরাধীন ভারতেও সরকারি ভবনের রং ছিল লাল। কিন্তু, তৃণমূল জমানায় উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, এমনকী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনগুলির রং পালটে ফেলার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। অনেক জায়গাতে আবার সরকারী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়েছে শিক্ষা দফতরে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলে স্কুল ভবনের রং পালটানো নিয়ে রাজ্য সরকার নয়া নির্দেশিকা জারি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ। এখন চলছে উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। পরপর দুটি বড় পরীক্ষার চাপ সামলে ভবনের রং পালটে উঠতে পারেনি অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষই। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পঞ্চাশ বা তারও বেশি পুরনো স্কুলগুলি একটি নির্দিষ্ট রঙেই পরিচিত। তাই রাতারাতি রং পরিবর্তনে আপত্তি তুলেছেন স্কুলের প্রাক্তনীরা। সরকারি নির্দেশের সায় নেই স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। শুধু রং বদলানোই নয়, নীল-সাদা রঙ করার জন্য আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে খুশি নয় বেশিরভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষই। গত জানুয়ারিতে স্কুলের রং বদলের নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। স্কুল ভবনের রং নীল-সাদা করার জন্য স্কুলগুলিকে প্রতি বর্গমিটারে ৩০.৫৭ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। বাজেট বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকারও বেশি।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি এই অনুদান পাবে। প্রধানশিক্ষকদের বক্তব্য, ''দেওয়ালে স্থায়ী রং করতে প্রতি বর্গমিটারে খরচ প্রায় ২০০ টাকা। সরকার দেবে ৩০.৫৭ টাকা। বাকি টাকা কীভাবে আসবে তার কোনও হদিশ নেই। এই সামান্য টাকায় যদি রং করতে হয়, তাহলে চুন দিয়ে সাদা ও সস্তায় নীল রং করতে হবে। একবার বৃষ্টি হলেই তা ধুয়ে যাবে।''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন