বালুরঘাট : মনোনয়নের আবেদন পত্র তুলতে গিয়ে বেধড়ক মার খেলেন এক সিপিএম কর্মী। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লক অফিস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জখম ওই ব্যক্তি বর্তমানে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পরেই সিপিএমের তরফে গঙ্গারামপুর চৌমাথায় ৫১২ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস গিয়ে এক নেতাকে আটক করে গঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, জখম সিপিএমের ওই কর্মীর নাম অধীর চন্দ্র রায়।
গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অধীর বাবু সিপিএমের হয়ে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর আবেদন পত্র তুলতে এদিন গঙ্গারামপুর ব্লক অফিসে এসেছিলেন। ফেরার সময় আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী লাঠি, রড ও বাটাম নিয়ে হামলা চালায় তার উপর। ওই কর্মীরা মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। সে সময় ওই এলাকার পুলিশ থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে থাকেন মারধোর বলে অধীর রায় জানান। রক্তাক্ত অবস্থাতেই তিনি সেখান থেকে গঙ্গারামপুরের সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন। এরপর স্থানীয় নেতারা তাঁকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।
এরপরেই সিপিএমের জেলা নেতা অচিন্ত্য চক্রবর্তীর নেতৃত্ব স্থানীয় সিপিএমের নেতা কর্মীরা গঙ্গারামপুর চৌমাথায় ৫১২ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রায় আধ ঘন্টার এই বিক্ষোভের ফলে জাতীয় সড়কে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার আই সি মকসেদুর রহমান এক বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে সেখানে হাজির হন। পুলিশ এসে অচিন্ত্য চক্রবর্তীকে আটক করে গঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে গেলে সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়।
গঙ্গারামপুরের সিপিএম নেতা আমিনূল মিয়াঁ জানান,গত ৫ বছর ধরে পঞ্চায়েতে লুটেপুটে খেয়েছে তৃণমূল নেতারা। সেকারণে যাতে বিরোধীরা প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য তাদের দেখলেই তাড়া করে পেটাচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাজ্য সড়ক অবরোধ করে পুলিশ এসে এক নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস জানান, ভোটে লড়তে শাসকদল ভয় পাচ্ছে। তাই আমাদের প্রার্থীদের উপর এভাবে আক্রমন করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানান, এমন কোনো ঘটনাই ঘটে নি। নিজেদের সমস্যা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিরোধী গুটিকয়েক নেতাকর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন