নয়াদিল্লি: পাক সেনার মর্টার হামলা সামলাতে কাশ্মীর সীমান্তে ১৩ হাজার বাঙ্কার বানাতে চলেছে সরকার। ইতিমধ্যে এই কাজের জন্য ৪১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হবে বাঙ্কারগুলি। মর্টার, মেশিনগান ও অন্যান্য হাতিয়ার থেকে ছোড়া গুলি ও বোমা আটকে দিতে সক্ষম এই বাঙ্কারগুলি।বিগত কয়েক মাস ধরেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। ফলে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির মানুষের। তাই গোলাবর্ষণ থেকে তাঁদের বাঁচাতে এই পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পাঁচ জেলায় ১৩,০২৯টি বাঙ্কার বানানো হবে। পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনে ওই জেলাগুলি সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন সেনা-সহ সাধারণ মানুষের। প্রভাবিত জেলাগুলি হচ্ছে- সাম্বা, পুঞ্চ, জম্মু, কাঠুয়া ও রাজৌরি। সরকারি সংস্থা ‘ন্যাশনাল বিল্ডিংস কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন’কে (এনবিসিসি) এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাড়িগুলির প্রত্যেকটির জন্য একটি করে বাঙ্কার বানানো হবে। এগুলিতে আট থেকে দশজন মানুষ থাকতে পারবে। এছাড়াও আরও ১ হাজার ৪৩১টি কমিউনিটি বাঙ্কার বানানো হবে। প্রত্যেকটি বাঙ্কারে গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে ৪০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। সূত্রে খবর, খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে। বাঙ্কারগুলি অন্যত্র নির্মাণ করে গন্তব্যে এনে জোড়া লাগানো হবে। এক কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সন্মানের৷
উল্লেখ্য, চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে ভারতীয় সেনা। শত্রুর গুলিতে বা বোমার আঘাতে ক্ষতি হবে না, সীমান্তে এমন অত্যাধুনিক বাঙ্কার তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। সেনার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মাটি-পাথর বা কাঠের তৈরির অস্থায়ী সেনা ছাউনি সরিয়ে নয়া বুলেটপ্রুফ বাঙ্কার বসানো হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন