আগরতলা : পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের শেষ দিন বুধবার। তিনদিনের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন ৩৮,৪১১ জন ভোটকর্মী। ১৮ ফেব্রুয়ারি মতদানের জন্য পরিচয়পত্র হিসেবে প্রামাণ্য হবে আরও দশটি সচিত্র সরকারি নথিকে স্বীকৃতি দিল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত জানিয়েছেন, মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একশো শতাংশ সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি করা হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও অনেকে পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলতে পারেন৷ এছাড়া, কমিশনের তরফে যে সচিত্র ভোটার স্লিপ পাঠানো হবে তা-ও নষ্ট হয়ে পড়লে বিকল্প হিসেবে আরও দশটি পরিচয়পত্র দেখালে ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা৷ এই দশটি পরিচয়পত্র হল পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সার্ভিস আইডেন্টিটি কার্ড, সচিত্র ব্যাঙ্ক পাসবুক, প্যান কার্ড, আরজিআইযের ইস্যু করা স্মার্ট কার্ড, এমজিএনরেগা জবকার্ড, শ্রমমন্ত্রক কর্তৃক ইস্যু করা হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড, সচিত্র পেনশন ডকুমেন্ট ও আধার কার্ড৷
রাজ্যের ছয়টি জেলায় ৪৭টি বুথের পরিচালনায় মহিলারা থাকবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীরাম তরণীকান্ত৷ তবে ঊনকোটি এবং ধলাইয়ের কোথাও মহিলা পরিচালিত বুথ থাকছে না৷ তিনি বলেন, তিন দিনে পোস্টাল ব্যালটে রাজ্যে ভোট পড়েছে ৩৮ হাজারেরও কিছু বেশি৷ তবে ভোটকর্মীদের জন্য ভোটদানের আরও একটি সুযোগ মিলল৷ চাইলে ভোটকর্মীরা পোস্টালেও নিজেদের ভোট দিতে পারবেন৷
তিনি বলেন, প্রথম দিনে ১৪,৮০৫, দ্বিতীয় দিনে ১২,৯৬৪ এবং তৃতীয় দিনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট পড়েছে ১০,৬৪২টি৷ সব মিলিয়ে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৩৮,৪১১৷ মঙ্গলবারের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি৷ আর বুধবার অন্তিম দিন। বুধবারই রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক অফিসে পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হবে৷ যে সমস্ত ভোটাররা এই চারদিনে ভোট দিতে পারেননি তাঁরা জেলাশাসক অফিসে গিয়েও ভোট দিতে পারবেন৷
মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন, যাঁরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেননি তাঁদের জন্য আরেকটা সুযোগ দেওয়া হবে৷ বুধবারের পর এ সমস্ত ভোটারদের নামে বাড়িতে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার৷ এই ব্যালট পেপার নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মী আবারও অফিসে এসে ডিক্লারেশনে স্বাক্ষর করে এর পর বাড়ি থেকে পুনরায় পোস্টালে পাঠাতে পারবেন ব্যালট পেপার৷
ভোট গণনার আগের দিন পর্যন্ত যে সমস্ত ব্যালট পেপার আরও অফিসে এসে পৌঁছুবে সেগুলিকে গ্রাহ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন