বালুরঘাট: সংরক্ষণের ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রার্থী বাছাই নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কে কোন এলাকায় জেলা পরিষদের প্রার্থী হবেন তা নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে | তখনই বালুরঘাট পূর্ব চক্রের তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের একটি ফেসবুক পোস্টারে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রায়কে জেলা পরিষদের পতিরাম ১০ নং আসনের প্রার্থী হিসাবে আগাম প্রচার চালানো হচ্ছে।
দলের তরফে এখনও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৮ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা না হলেও বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রায়কে আগাম ফেসবুকে প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে প্রবীর রায়ের বিরুদ্ধে। যদিও প্রবীর রায় জানান, তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। দলের তরফে জেলা সভাপতিই জেলার সবকটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন। সেক্ষেত্রে তাকে অপদস্থ করার জন্য কোনো চক্রান্ত হতে পারে বলে তিনি জানান। সংরক্ষণের কারণে এবারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের বেশ কয়েকটি আসনের পুরানো প্রার্থীদের সেখানে দাঁড়ানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যেমন সংক্ষরণের কারণে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আসনের বদল হয়েছে। সে কারণে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রায়কে জেলা পরিষদের আসনের প্রার্থী হিসাবে আগাম প্রচার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জেলার হিলির জেলা পরিষদের আসনটিও সংরক্ষিত হওয়ায় সেখানে গতবারের বিজয়ী তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা কল্যান কুন্ডু দাঁড়াতে পারছেন না।
জেলা পরিষদের পতিরাম ১০ নং আসনটি সাধারণ হওয়ায় প্রবীর রায় ও কল্যান কুন্ডু দুজনেই এই আসনের দাবিদার। কাকে ওই আসনে প্রার্থী করা হবে তা নিয়েও ধন্দে জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানান, দলের তরফে জেলা পরিষদের আসনগুলির প্রার্থী তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন আসার পরেই তা প্রকাশ করা হবে। সংক্ষরণের কারণে যখন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে দল হিমসিম খাচ্ছে, সেই সময়ে দলের লোগো দিয়ে প্রবীর রায় ও মমতা ব্যানার্জীর ছবি লাগিয়ে পতিরামের জেলা পরিষদের আসনে প্রবীর রায়কে ফেসবুকে প্রচার করায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন