ঢাকা ও কাঠমাণ্ডু : কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য| বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের দু’রকম নির্দেশনার জন্যই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইউএস-বাংলা বিএস২১১ বিমানটি| কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের অডিও-র শেষ চার মিনিট ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে| কথোপকথনে শোনার পর বিশেষজ্ঞ মহন মনে করছে, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের দু’রকম নির্দেশনার ফলেই বিমানটির ককপিট বিভ্রান্ত হয়েছে| এটা পুরোপুরি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের ভুল| মারাত্মক এই ভুলের জন্য অকালেই চলে গেল ৫০ জনের প্রাণ|
কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের শেষ চার মিনিটের অডিও-তে শোনা যাচ্ছে, পাইলট ও এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের বার্তালাভে বিমানবন্দরের রানওয়ে ০২ (দক্ষিণ প্রান্ত) ও রানওয়ে ২০ (উত্তর প্রান্ত) নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে| দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিএস২১১ বিমানটি যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন অন্য বিমানের নেপালি পাইলটরা শুনতে পান, এটিসি থেকে ইউএস-বাংলা বিমানের পাইলটকে হুঁশিয়ারি করা হচ্ছে যে, তাকে কিছুটা বিভ্রান্ত মনে হচ্ছে এবং তাঁর উচিত রাডার অনুসরন করা ও বিপজ্জনক পথ থেকে সরে যাওয়া| সেই সময় বিমানবন্দরের পাশের পাহাড়ও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না| বিএস২১১ বিমানের পাইলটের সঙ্গে বার্তালাভের শুরুতেই এটিসিকে বলতে শোনা যায়, আবারও বলছি রানওয়ে ২০-র দিকে এগোবেন না| পাইলটকে হুঁশিয়ারি করে জানানো হয়, অবতরণ করবেন না, কারণ আরেকটি বিমান অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে| রানওয়ে ২০ বা উত্তর প্রান্তে না নামার জন্য হুঁশিয়ারি পেয়ে পাইলট যখন ডান দিকে ঘুরতে প্রস্তুতি নেন, তখন তাঁকে আবার এটিসি থেকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি রানওয়ে ০২ (দক্ষিণ প্রান্ত) নাকি ২০-এ (উত্তর প্রান্ত) নামতে চান| তখন পাইলট জবাব দেন, ‘আমরা রানওয়ে ২০-এ নামতে চাই| এরপর বিএস২১১ বিমানটিকে রানওয়ে ২০-এর শেষ প্রান্তে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়|’
নেপালের সময় অনুযায়ী সোমবার দুপুর ২.২০ মিনিট নাগাদ পার্বত্য শহর কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে ইউএস-বাংলাদেশ (বাংলাদেশ এয়ারলাইন) সংস্থার একটি বিমান| বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়| বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন