কলকাতা : বিধানসভা অধিবেশনে ‘বিরোধীদের অধিকার হরণের প্রতিবাদে’ সোমবার বিরোধী কংগ্রেস সদস্যরা কক্ষত্যাগ করেন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, “এ রাজ্যে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করে স্বৈরাচারী কায়দায় অধিবেশন চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।“ দলীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য এদিন সিপিএম বিধায়কেরা অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ বাদেই অধিবেশন থেকে চলে গিয়েছিলেন।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের বাজেট নিয়ে আলোচনার পর এ দিন সেটি গৃহীত হয়। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় গ্রামে গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের বিশদ তথ্য যখন অধিবেশনে দাখিল করছিলেন। তিনি বলেন, “মাথাপিছু ৭০ লিটার করে জল দেব। একটা পরিবারে যদি পাঁচ জন থাকে, আমরা সেখানে ৩৫০ লিটার জল দেব।“ আব্দুল মান্নান তখন প্রতিবাদ হিসাবে কিছু বলতে চান। অধ্যক্ষ আপত্তি করলে মান্নান ক্ষুব্ধ হয়ে বলতে থাকেন, আমরা কিছু বলতে চাইলে অনুমতি পাই না! এ ভাবে চলতে পারে না!“
কংগ্রেস বিধায়কদের প্রতিবাদ ও কিছু তৃণমূল বিধায়কের পাল্টা প্রতিবাদের মধ্যেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলে চলেন। কোন জেলায় উন্নয়নের কাজ কতটা হয়েছে, তার হিসেব দিয়ে বলতে থাকেন, “ইস্রায়েলের সঙ্গেও আমাদের চুক্তি হয়েছে এ সব নিয়ে।“ এর পরেই কংগ্রেস বিধায়করা দল বেঁধে কক্ষত্যাগ করেন।
পরে মান্নান, নেপাল মাহাতো, অসিত মিত্র প্রমুখ শীর্ষ কংগ্রেস বিধায়করা সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভ উগরে দেন। মান্নান বলেন, “বিধানসভার মর্যাদা বার বারক্ষুন্ন হচ্ছে। এর পবিত্রতা থাকছে না! পুলিশ বাজেটের মত গুরুত্বপূর্ণ দিনেও অধিবেশনে খোদ পুলিশমন্ত্রী ছিলেন না। আমরা কিছু অধিবেশনে বলতে গেলে মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে থেওয়া হচ্ছে। দেশের যে কোনও রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে অধিবেশন কম সময় ধরে হচ্ছে।” অধিবেশনে যে আলোচনা কংগ্রেস করতে পারছে না, সেগুলি পরে বাইরে ’নকল অধিবেশন’ বসিয়ে করব বলে জানান মান্নান। তিনি বলেন, “৩৭টি বিষয় গিলোটিনে গিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।“ উল্লেখ্য, যে বিষয়গুলি নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হয় না, সেগুলি ’গিলোটিনে’ পাঠানোর কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা মান্নান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন