কাঁথি : পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-শংকরপুর-তাজপুর-মান্দারমণির হোটেল গুলোতে অনলাইন গেস্ট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটকরা | যার সমাধানের চেষ্টায় মালিকপক্ষ ও প্রশাসন |
চলতি মার্চ মাস থেকে সৈকত শহর দিঘা-শংকরপুর-তাজপুর-মান্দারমণির হোটেল গুলোতে "অনলাইন গেস্ট রেজিস্ট্রেশন"পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার।সেই নির্দেশকে বাস্তবে কার্যকরী করার জন্য রবিবার রাতে "তাজপুর সী-কোস্ট টেলিয়ার্স"এসোসিয়েশনের তরফে একটি জরুরি পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ দিনের সভায় প্রায় সমস্ত হোটেল মালিক সহ কর্মচারীরা হাজির ছিলেন। ছিল পুলিশ প্রশাসনও | উভয়ে মিলে সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট মালিকপক্ষ ও প্রশাসন |
সমস্যা-এক : বহু পর্যটক রাজ্য সরকারের এই নতুন নির্দেশিকা নিয়ে বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন।পর্যটকেরা জানান, এইরকম নির্দেশিকার কোন বিজ্ঞপ্তি তারা কোথাও দেখেননি। শুধু তাই নয় তারা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিটিও দেখতে চান।এই নিয়েয় পর্যটকদের সংে বির্তক বাড়ছে।
সমস্যা-দুই : পর্যটকরা আরও বলছেন সরকারিভাবে এই নির্দেশিকা বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন আকারে কেন প্রকাশ করা হয় নি? যাতে সমস্ত পর্যটকরা আগে থেকে জেনে গেলে হোটেলের রুম-চেক-ইনের সময় তাদের পরিবারকে নিয়ে এই হয়রানিতে পড়তে হত না।
সমস্যা-তিন : পর্যটকদের বক্তব্য, সবার পরিচয়পত্র নিয়ে ঘোরা সবসময় হয়ে ওঠে না।যেখানে আমি আমার স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছি সেখানে আগের নিয়ম মতো আমার পরিচয়পত্রই যথেষ্ট বলে মনে হয়।
সমস্যা-চার : হোটেল মালিকদের পক্ষে জানানো হয়েছে যে, তাজপুর এলাকায় এই সরকারি নির্দেশিকা চালু করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট লাইন একটি গুরুতর সমস্যা। যেখানে ফোনলাইন ঠিকমতো কাজ করে না।সেখানে হোটেলগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা কী ভাবে পাওয়া যাবে?
সমস্যা-পাঁচ : বহু ছোট হোটেল কিংবা গেস্ট হাউস গুলোতে এখনও দক্ষ কর্মীর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আর এই অবস্থায় সরকারি নির্দেশিকাটি চালু করার ইচ্ছা থাকলেও হোটেল মালিকদের উপায় নেই।
সবশেষ এ দিনের পর্যালোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা অনলাইন পদ্ধতি এই মূহূর্ত্বে করতে পারবেন না, তারদের ব্যক্তিগতভাবে অফলাইন পদ্ধতিতে তাদের নির্ধারিত ফর্ম-ফিলাপ করে মান্দারমণি কোষ্টাল থানায় জমা দিতে হবে। তাজপুরে পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে মান্দারমণি কোষ্টাল থানার ওসি রাজকুমার দেবনাথ বলেন, "একটি পরিবারে একজনের ফটো সহ ডাটা আপলোড করুন এবং অন্য সদস্যদের পরিচয়পত্রের ছবি সহ ডাটা এন্ট্রি করুন। গ্রুপের জন্য অন্ততপক্ষে ৪-৬জনের পরিচয়পত্রের ছবি সহ ডাটা এন্ট্রি করুন।"
তাজপুর সী-কোস্ট হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল দাস বলেন, "আমরা সরকারি নির্দেশিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি।কিন্তু বর্তমানে কিছু সমস্যা থাকায় এই "অনলাইন গেস্ট রেজিস্ট্রেশন"পদ্ধতি খুব শীঘ্রই যাতে চালু হয়-সেই চেষ্টাই করছি।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন