কলকাতা: আরএসএস পরিচালিত স্কুলগুলি সাময়িক স্বস্তি পেল। শিক্ষায় গৈরিকী করণ বরদাস্ত নয় বলে বারে বারে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । এরপরই আরএসএস-এর প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষ প্রভাবে পরিচালিত রাজ্যের ১২৫ টি স্কুল বন্ধে নোটিশ দেয় স্কুল শিক্ষা দফতর । সেই স্কুল বন্ধের নির্দেশিকা শুক্রবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে,পদ্ধতি মেনে পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য সরকার, বলে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশজুড়ে আরএসএসের ছাতার তলায় থাকা এই সমস্ত স্কুলগুলির দ্রুত প্রসার হচ্ছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এই ধরনের প্রায় সাড়ে ৩০০ স্কুল রয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই তদন্ত চালিয়ে কিছু স্কুলের অনুমোদন বাতিল করা হয়। শিক্ষা দফতরের অনুমোদন সংক্রান্ত কিছু নিয়ম না মানার কারণে এই স্কুল বন্ধের জন্য নোটিশ জারি করা হয় । কিন্তু এদিনের হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে ব্যাকফুটে রাজ্য ।
তার মধ্যে একটি স্কুল ছিল উত্তর দিনাজপুরের করণ দিঘির সারদা শিশুতীর্থ স্কুল । গত বছর ১৫ ই মার্চ স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে স্কুল শিক্ষা দফতর । সেখানে বহু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি স্কুলটি । তখনই জানানো হয় স্কুলকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না । ২০১৭ সালের মার্চ মাসে বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, রাজ্যে আরএসএ পরিচালিত স্কুলগুলি নিয়ে অভিযোগ বেশ পুরনো । এদের বিরুদ্ধে পঠনপাঠনে অনিয়ম ও অন্যান্য বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে । এমনকি এদের বিরুদ্ধে ধর্মান্ধতারও অভিযোগ উঠছে । উত্তরবঙ্গে ও উত্তর ২৪ পরগনায় এই ধরনের স্কুল বেশি । শিক্ষামন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর ১০ এপ্রিল নোটিশ জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতরের উত্তর দিনাজপুরের ডি আই । এনিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে । নোটিশকে চ্যালেজ্ঞ করে সারদা সেবা ট্রাস্টের হয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন সৃজন পাল ।
শুক্রবার ওই নোটিশ খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২ মাসের মধ্যে স্কুলগুলি ঘুরে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যস্তরের কমিটিকে । এবং তা আদালতে জানাবার নির্দেশ দেন বিচারপতি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন