মুম্বই: অভিযুক্ত শিল্পপতি নীরব মোদীর বিরুদ্ধে এবার কাজ করিয়ে নিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। নীরব মোদীর হীরের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন বাবদ চুক্তির টাকা পাননি বলে দাবি করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
এদিকে এই বিপুল অর্থ প্রতারণার জেরে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মোট ২৮০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এই ঘটনায় নজরে এসেছেন ব্যাঙ্কের দুই উচ্চপদস্থ এআধিকারিকও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যানেজার গকুলনাথ শেট্টি এবং এসডব্লুও মনোজ হনুমন্ত খারাট। এঁরাই মূলত নীরব মোদীর সঙ্গে কাজ করতেন, তাঁর সমস্ত লেনদেন দেখভাল করতেন। নীরব মোদীর বিরুদ্ধে থানায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে এই দুই ব্যক্তির নামও। ব্যাঙ্কের আরও দশ কর্মীর কার্যকলাপের ওপরও নজর রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। পিএনবি-র এই পুরো বেআইনি লেনদেনটাই হয়েছে ব্যাঙ্কের মুম্বই শাখা থেকে।
জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে হীরে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি ও সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় মোদির বাসভবনে হানা দেন ইডি কর্তারা। কুরলাতে তাঁর বাসভবনে, কালা ঘোড়া এলাকায় তাঁর গহনার দোকান, বান্দ্রা ও লোয়ার প্যারেলে তাঁর তিনটি সংস্থা, গুজরাটের সুরাটে, দিল্লির ডিফেন্স কলোনিতে, চাণক্যপুরিতে তাঁর শোরুমে আজ একযোগে অভিযান চালান ইডি অফিসাররা। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। দায়ের হয়েছে আর্থিক তছরুপের মামলা। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযান আরও বেশ কিছুদিন চলবে।
তবে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই নীরব মোদি কিন্তু বেপাত্তা। আশঙ্কা, বিজয় মালিয়ার মতো তিনিও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সম্ভবত। ইডি সূত্রে খবর, নীরব পালিয়ে গিয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে এখনও নীরব মোদী সম্পর্কে এমন কোনও খবর নেই, যা থেকে দাবি করা যায়, ওই শিল্পপতি দেশের বাইরে রয়েছেন। এদিকে শুধু পিএনবি নয়, নীরব মোদীকে টাকা ধার দিয়েছে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এসবিআই, ওভারসিস ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক দিয়েছে, ২৩০০ কোটি, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক দিয়েছে দু হাজার কোটি, এসবিআই দিয়েছে ৯৬০ কোটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন