নয়াদিল্লি: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক-এর কেলেঙ্কারিতে জড়িত নীরব মোদী কোথায় রয়েছেন? প্রথমে শোনা গিয়েছিল নীরব লন্ডনে রয়েছেন, পরে শোনা যায় সুইত্জারল্যান্ডে সময় কাটাচ্ছেন নীরব| আবার শোনা যাচ্ছে নীরব নিউইয়র্কে রয়েছেন| প্রথমে শোনা গিয়েছিল, লন্ডনে রয়েছেন তিনি। পরে শোনা যায় সুইজারল্যান্ডে রয়েছেন।
পরে এদিন জানা গিয়েছে, নিউ ইয়র্কে এক পাঁচতারা বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন নীরব মোদী। সেই হোটেলের যে স্যুটে তিনি রয়েছেন তার দৈনিক ভাড়া ১ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে নীরব মোদীকে ধরতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তার পাসপোর্ট চার সপ্তাহের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকী তার কাকা মেহুল চোকসির পাসপোর্টও সাসপেন্ড করা হয়েছে। নীরবকে ধরতে সিবিআই ইতিমধ্যে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছে। নিউ ইয়র্কের যে ধরে নীরব রয়েছেন বলে খবর, সেখানে তার সঙ্গে স্ত্রী অ্যামি ও মেহুলও রয়েছেন।
অন্যদিকে, ধনী জুয়েলারি ডিজাইনার নীরব মোদি ও মেহুল চোকসির পাসপোর্ট বাতিল করল বিদেশমন্ত্রক। চার সপ্তাহের মধ্যে নীরব মোদি ও মেহুল চোকসির পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১১,৪০০ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাঁরা। ওই ব্যাঙ্কের ইস্যু করা ১৫০টি অঙ্গীকারপত্রের মাধ্যমে জালিয়াতির টাকা লেনদেন করা হয়েছিল। সিবিআইএর পাশাপাশি ইডিও নীরভ মোদির পাসপোর্ট বাতিলের জন্য বিদেশমন্ত্রকের কাছে আলাদা করে আবেদন জানিয়েছে।
নীরভ মোদির কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে। যা নিয়ে তিনি ১ জানুয়ারি এ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেন। তাঁর ভাই নিশাল মোদি বেলজিয়ামের নাগরিক। একই দিনে দেশ ছাড়েন তিনিও। তবে তাঁরা একসঙ্গে সফর করছিলেন কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে। নীরবের স্ত্রী এমি মার্কিন নাগরিক। ৬ জানুয়ারি ভারত ছাড়েন এমি। নীরবের আত্মীয় ও ব্যবসার অংশীদার তথা গীতাঞ্জলী জুয়েলারি চেনের প্রোমোটার মেহুল চোকসি দেশ ছাড়েন ৪ জানুয়ারি। শুক্রবারই নতুন করে সিবিআই গীতাঞ্জলী জুয়েলারি চেনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন