কলকাতা: শেষপর্যন্ত ডায়েরিয়া নিয়ে ব্যাকফুটে কলকাতা পুরসভা । পাইপলাইনের জল থেকেই সংক্রমণ বলে শুক্রবার জানালেন বেলাঘাটা আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষ উচ্ছ্বলকুমার ভদ্র । অন্যদিকে, ডায়েরিয়া নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট নাইসেড । ডায়েরিয়া প্রবণ এলাকায় জল পরীক্ষার অনুরোধ করেনি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর । চিকিৎসার বা ওষুধ খাওয়ানোর পর মল পরীক্ষা করতে প্রথমে পাঠালে আরও ভাল ফল পাওয়া যেত বলে মনে করেন নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত ।
দক্ষিণ কলকাতার আটটি ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন ধরে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দেয় । নোনাডাঙা থেকে গড়িয়া বিস্তীর্ণ এলাকার ১৫৪ টি জায়গা থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় । ডায়েরিয়া আক্রান্তদের বাড়ি থেকেও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় । কেনা বোতলবন্দি জল, হ্যান্ড টিউবওয়েল এবং এক আক্রান্তের বাড়ির ভেতরে অপরিষ্কার জমা জলে জীবাণু মিলেছে । এদিন মেয়র পারিষদ,স্বাস্থ্য, অতীন ঘোষ জানান, পুরসভা খবর পাওয়া মাত্র পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে । স্থানীয় কাউন্সিলররা নিয়মিত ওয়ার্ডে ঘুরে নজর রেখেছেন । রোগীদের অবস্থার ওপর নজর রাখতে বাঘাযতীন হাসপাতালেও নিয়মিত যাতায়াত করা হচ্ছে । আটটি ওয়ার্ডের ১৯৩ টি জায়গা থেকে জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে । বাজারের বোতলবন্দি কেনা জলে মিলেছে জীবাণু । আগামী সপ্তাহ থেকে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিয়ে শহরে বিভিন্ন পানীয় জল বিক্রেতা সংস্থাগুলিতে অভিযান চালানো হবে । কোথা থেকে কীভাবে জল বোতলবন্দি করা হচ্ছে তা দেখা হবে । কোথাও কোনও সন্দেহজনক কিছু পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
শুক্রবার বাঘাযতীনে বোতলবন্দি জলের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুরসভা । জলভরতি জারে দু’রকমের স্টিকার থাকায় জলভরতি জার বাজেয়াপ্ত করেন পুর আধিকারিকরা । ১০১ নং ওয়ার্ডে বাঘাযতীন স্টেশন রোডে দু’রকম স্টিকার দেখে সন্দেহ হয় পুর আধিকারিকদের । জলের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য জলভরতি জার পাঠানো হয় পুর-ল্যাবরেটরিতে ।
এদিকে, এদিন দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনের পানীয় জল পরীক্ষা করতে চলেছে রেল । ডায়েরিয়ার আতঙ্কের জেরে পানীয় জল সংগ্রহ করে নমুনা পাঠানো হয়েছে বি আর সিং হাসপাতালে । সেখানেই পরীক্ষা করা হবে সংগৃহীত পানীয় জল । ‘রেল নীড়’ ছাড়া অন্য বোতলের জল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে পূর্ব রেল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন