আউশগ্রাম : একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের বিরুদ্ধে আমানতকারীদের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল। কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টটি আউশগ্রামের দিগনগর ২ অঞ্চলের লক্ষ্মীগঞ্জ ঘোষপাড়ায় অবস্থিত। এনিয়ে ওই ব্যাঙ্কের গুসকরা শাখার ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে গ্রাহকরা। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের লক্ষ্মীগঞ্জ, কুমারগঞ্জ, যাদবগঞ্জ, মাঝেরগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা এই সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে ব্যাঙ্কে টাকা জমা করেন। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের মজুরি, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অনুদান ও ভাতার টাকা তোলেন। অভিযোগ, এইসব আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রসিদ দেওয়া হয় না। অভিযোগ, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন গ্রাহক পাসবুক আপডেট করাতে গিয়ে দেখেন, তাঁরা যে পরিমাণ টাকা তুলেছেন তার থেকে বেশি টাকা তোলার হিসাব রয়েছে পাসবুকে। হাতে পাওয়া টাকা ও পাসবুকে টাকা তোলার তথ্যে গরমিল রয়েছে। কিন্তু, পাসবুকে যে তথ্য দেওয়া আছে নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহক সেই পরিমাণ টাকাই তুলবেন।
সুশান্ত ঘোষ নামে এক গ্রাহকের অভিযোগ, ৪১ জনের পাসবুকে গরমিল রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ওই কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের গ্রাহক সাবিত্রী মাহালির অভিযোগ, তাঁর পাসবুকের তথ্য বলছে, তিনি যে টাকা হাতে পেয়েছেন এবং পাসবুকে থাকা টাকা তোলার হিসাবে ১৭ হাজার টাকার গরমিল রয়েছে। তবে ওই কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের ইনচার্জ রহিত মাহাত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁরা কেউ প্রমাণ করতে পারবেন না যে টাকা কারচুপি করে তুলে নেওয়া হয়েছে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন