পাথারকান্দি : ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে প্রতিবছরই ভক্তকুল পুজোর ডালি নিয়ে আসেন আদমটিলায় অবস্থিত সন্ন্যাসীবাড়িতে। এখানে বিশাল বটবৃক্ষের নীচে গড়ে তোলা হয়েছে শিবের পুজোস্থল। গত দু-তিন বছরের মতো এবারও শিবরাত্রী উপলক্ষে পুজো দিতে যান এলাকা ছেড়ে বহু দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা। তাঁরা একে একে মহাদেবের সামনে পুজার অর্ঘ্য আস্ত নারিকেল নিবেদন করতেই সেগুলো ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এমন আজব ঘটনাকে ভক্তরা অলৌকিক বলে মনে করে ষাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করে নিজের ও পরিবারবর্গের পাশাপাশি জগতের মঙ্গল কামনা করছেন।
এমন ‘অলৌকিক’ ঘটনা ঘটেছে বুধবার পাথারকান্দি থানার অন্তর্গত আদমটিলা সন্ন্যাসী বাড়িতে। খবর পেয়ে কৌতূহলী জনতার ভিড়ও উপচে পড়ে। মহাশিবরাত্রিকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের মতো এবারও আদমটিলার সন্ন্যাসী বাড়িতে ছিল অষ্টপ্রহর হরিনাম মহাসংকীর্তনের আসর। নিয়ম অনুযায়ী হাতে নারিকেল নিয়ে ভক্তদের ঢল নামে সন্ন্যাসীবাড়িতে। এদিন সকাল থেকে এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত পাহাড়ি টিলার উপর মহাদেবকে দর্শন করতে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে ভক্তরা শিবের পূজার্চনার জন্য উপস্থিত হতে থাকেন। মন্দিরটি চা বাগান এলাকায় থাকায় গোটা দিনব্যাপী শিবের আরাধনা চলে। এরই মধ্যে ঘটে চলে একের পর এক নারিকেল ফাঁটার বিরল দৃশ্য।
এ বিষয়ে সন্ন্যাসীবাড়ির প্রধান সেবাইত মনচুলু ঠাকুর এবং পুরোহিত জয়শংকর উপাধ্যায় বলেন, প্রায় শতাধিক বছরের পুরনো এই বটবৃক্ষের নীচে স্বমহিমায় জন্ম নেয় এক পাথরের মূর্তি। পরে বেশ কয়েকজন নাগরিক স্বপ্নাদর্শন পেয়ে এই স্থলকে সন্ন্যাসীবাড়ি নামে পরিচিতি দেন। গত প্রায় ১৫ বছর থেকে মহাশিবচতুর্থীতে দেবাদিদেব মহাদেবকে কেন্দ্র করে এখানে বিরাট উৎসবের আয়োজন হয়। এখানে টানা শিবরাত্রি উপলক্ষে টানা সাতদিন উৎসব হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন