পর্যটনের নতুন দিশা দেখাচ্ছে গোপীবল্লভপুর ভুলনপুর গ্রাম - Aaj Bikel
পর্যটনের নতুন দিশা দেখাচ্ছে গোপীবল্লভপুর ভুলনপুর গ্রাম

পর্যটনের নতুন দিশা দেখাচ্ছে গোপীবল্লভপুর ভুলনপুর গ্রাম

Share This


ঝাড়্গ্রাম  : পর্যটনের এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের সরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ভুলনপুর গ্রাম। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং মানব শ্রমের সংমিশ্রনে এক অসাধারন পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে উঠছে ভুলনপুর গ্রামে। সুবর্নরেখা নদীর তিরবর্তী এলাকায় জংলা,উসর জমিতে সবুজায়ন গঠিয়ে এক অন্যবদ্য পর্যটন স্থল উপহার দিতে চলেছে গোপীবল্লভপুর এক পঞ্চায়েত সমিতি। বছর খানেক আগে সুবর্নরেখা নদীর পারে ভুলনপুর গ্রামের এই জায়গাটি ছিল আগাছা পূর্ন। সেখানে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পঞ্চাশ হেক্টর জমিকে সমান করে এক বিশাল ফলের বাগান তৈরী করা হয়েছে। গত এক বছরধরে স্থানীয় মানুষ জন একশ দিনের প্রকল্পে বাগান টিকে দেখভাল করে চলেছেন। আর ব্লক প্রশাসন নদী তিরবর্তী এই স্থানটিকে ঘিরে পর্যটন স্থল গড়ে তোলার জন্য বিদ্যুতায়ন,চারটি সেলো পাম্পের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।এছাড়াও পর্যটকদের বসার জন্য শেড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। মূল পিচ রাস্তার থেকে বাগান এবং নদী তিরে পৌছানোর জন্য স্থানীয় খালের উপর পশ্চিম অঞ্চল উন্নয়ন দফতরের বরাদ্দ কুড়ি লক্ষ টাকায় কংক্রিটের সেতুও করে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্র জানা গিয়েছে পঞ্চাশ হেক্টর এই জমি জুড়ে বাইশ রকমের পঁত্রিশ হাজার নানা ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। অত্যন্ত সুন্দর এই স্থান ঘিরে পর্যটকদের আনাগোনা যাতে বাড়ে তার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ওই নদী তিরবর্তী বাগান এলাকায় চারটি কটেজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগমী বছর এই ভুলনপুর পর্যটন ক্ষেত্রটি পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের গোপীবল্লভপুর মোড় থেকে হাতিবাড়ি যাওয়ার পথেই রাস্তার ধারে খুব সহজেই পৌছে যাওয়া যাবে ভুলনপুর। পর্যটকেরা একই পথে পেয়ে যাবেন তিনটি জায়গা দেখার সুযোগ।

গোপীবল্লভপুর থেকে ৬ কিমির মধ্যে ভুলনপুর।আর ভুলনপুর থেকে দশ কিমির মধ্যে ঝিল্লিপাখিরালয় এবং চার কিমির মধ্যে হাতিবাড়ি। তাই বলাই যেতে পারে একই যাত্রা পথে তিনটি দেখার মতো জায়গা পাবেন পর্যটকরা। আর গোপীবল্লভপুর মোড়েই রয়েছে গোবীন্দ জিওর মন্দির এবং ইকো পার্ক। সব মিলিয়ে গোপীবল্লভপুর এক ব্লক পর্যটনের এক নতুন দিশারি । এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক বলেন “ ভুলনপুর এত সুন্দর একটি স্থল যা দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেনা কেউ। পর্যটরদের দারুন ভালো লাগবে। তারা একই পথে তিনতিনটি দর্শনীয় স্থান দেখার সুযোগ পাবেন।” অন্যদিকে গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও বিশ্বনাথ চোধুরী বলেন বলেন“ ভুলনপুর ঘিরে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে।ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ,পানীয় জল,শেড,কংক্রিটের সেতু নির্মিত হয়েছে।আমরা চাইছি যাতে পর্যটকরা এসে থাকতে পারেন তার জন্য কটেজ তৈরি করার। ভাবনা চিন্তায় রয়েছে প্রাথমিকভাবে চারটি কটেজ করার।”

কোন মন্তব্য নেই: