ঝাড়্গ্রাম : বচসার জেরে রাগের মাধায় শাস্তী দিতেই প্রাণকৃষ্ণ পাতরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বলে পুলিশি জেরাই স্বীকার করল অভিযুক্ত পরিমল পাতর। মঙ্গলবার রাতে জামবনি থানার নিমডিহা গ্রামের বাসিন্দা প্রানকৃষ্ণ পাতর কে লোহর রড দিয়ে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পরিমল পাতর কে খড়্গপুর থানার বড়াডিহা গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করছে।গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত এমনটাই পুলিশকে জনিয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এদিন বুধবার পরিমল পাতর কে ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লখ্য গত রবিবার জামবনি থানার নিমডিহা গ্রামে নিজের বাড়িতে প্রানকৃষ্ণ পাতর কে রক্তাত্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তিনি রাতেই মারা যান। খুনের অভিযোগের আঙুল ওঠে প্রানকৃষ্ণ বাবুর সম্পর্কিত আত্মীয় পরিমল পাতরের দিকে। রবিবার ঘটনার পর থেকে পরিমল এলাকার জঙ্গল ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। সোমবার নিহত প্রানকৃষ্ণ বাবুর ছেলে পরিমল পাতরের বিরুদ্ধে জামবনি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার নিমডিহা গ্রামে প্রানকৃষ্ণ পাতরের বাড়িতেই পরিমল এসেছিল। তারা দুজনে বসে গল্প করছিল। পুলিশ এও জানিয়েছে তারা দুজনেই মদ্যপ ছিল। গল্প করার মাঝে কোন একটি বিষয় নিয়ে বচসা হয় দুজনের মধ্যে। আর রাগ থেকে পরিমল শাস্তী দেবার জন্য রড দিয়ে প্রানকৃষ্ণ বাবুকে মারে। খাটিয়াতে রক্তাত্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল প্রানকৃষ্ণ বাবুকে। পুলিশি জেরায় পরিমল স্বীকার করেছে সেই রড দিয়ে প্রানকৃষ্ণ বাবুকে আঘাত করেছিল। সে চেয়েছিল শাস্তি দিতে।প্রানে মারতে চায়নি।
রাগের মাথায় ভুলবশত লোহার রড তার মাথায় গিয়ে লেগেছিল। তার ভুলেই প্রানকৃষ্ণ বাবু মারা গিয়েছে বলে সে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে পরিমল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন সরকারী পক্ষের আইনজীবি অনিল কুমার মন্ডল বলেন, যে রড দিয়ে আঘাত করে খুন করেছিল সেই রডটি উদ্ধারের জন্য ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছিলাম। বিচারক ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন