গ্রাম কাঁদছে সন্তান হারাবার ভয়ে ~সুনীল রায় - Aaj Bikel
গ্রাম কাঁদছে সন্তান হারাবার ভয়ে ~সুনীল রায়

গ্রাম কাঁদছে সন্তান হারাবার ভয়ে ~সুনীল রায়

Share This

সুনীল রায়: আমরা আমাদের বিভিন্ন দৈনিকতার মধ্যে সময় কাটিয়ে চলি। বিভিন্ন উৎসব, প্রাপ্তিতে আপ্লুত হই। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু পরিবেশ ছাড়াও একটি আশঙ্কা অবহেলায় দূরে সরিয়ে রাখছি। বলতে পারছি না ব্যক্তিগত কারণে, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতায় বা অন্য কারণে। অশুভ সময়ের অপেক্ষা দিন গুনছি অজান্তে।

বিশ্ব নয় ভারত নয় এমন কি বাংলাও নয় আমাদের এলাকার কিছু চিত্র তুলে ধরি। বনগাঁর অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা যে কয়েকটি কৃষিজাত উৎপাদনের পীঠস্থান তাদের মধ্যে অন্যতম নতুনগ্রাম, রামচন্দ্রপুর, মাধবপুর, ভিড়ের মাঠ, মণিগাম, রসুলপুর সহ কিছু জায়গার কৃষকদের কথা বলি।

এদের কথামতো নাম উল্লেখ না করে বর্তমানে এদের করুন পরিস্থিতির কথা বলি। যে জমি তাদের সন্তানসম, রক্ত ঝরা পরিশ্রমের মন্দির মসজিদ সেগুলি বিক্রির পথে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি এরা। কৃষিজাত ফসল যা এদের জীবনের আলো দেখার উৎসস্থল হতাশার ভারসাম্যে প্রাণান্তকর অবস্থা।

আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে যে দামে সার, বীজ, প্রয়োজনীয় সামগ্রী, প্রয়োজন ভিত্তিক বিষ কিনতে হত এখন তার দাম কমবেশি কুড়ি থেকে ত্রিশ গুণ হেরফের হয়েছে। অথচ উৎপাদিত ফসলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই আনুপাতিক হারে ১.০৫ শতাংশ কম বা কিছু বেশি। লভ্যাংশ নেই বললেই চলে।
এখন আরও কঠিন সমস্যা। কিছু অবাস্তব শূন্য ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় উভয়কে দোষারোপ করে মানুষের সামনে নিজেকে তুলে ধরছি। কথা বলছি মানুষের দেহের দিকে তাকিয়ে। হাততালিতে পুলকিত হচ্ছি। তাকিয়ে কথা বলছি না মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে। যেখানে যন্ত্রণা জমতে জমতে সাগরসম হয়ে যাচ্ছে। তাই আজ জমি বিক্রির পথে।

আমরা বাড়িতে কাঠের ব্যবহার ভুলে যাচ্ছি তাই উৎপাদিত গাছ লাগিয়ে আয়ের পথে যেতে চাইছে না। ফলে গাছ লাগিয়ে কিছু আয়ের পথ বন্ধ। একারণে গ্রাম কাঁদছে সন্তান হারাবার ভয়ে।[left-sidebar]


সীমান্ত শহরের হাঁড়ির খবর ~আজ বিকেল ই-পেপার


কোন মন্তব্য নেই: