বনগাঁ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ বৈঠক তুমুল বিতণ্ডা - Aaj Bikel
বনগাঁ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ বৈঠক তুমুল বিতণ্ডা

বনগাঁ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ বৈঠক তুমুল বিতণ্ডা

Share This

আজ বিকেল: তুমুল বাকবিতণ্ডার মধ্যেই শেষ হল বনগাঁ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ বৈঠক৷ চলতি মাসের শুরুতেই এই বৈঠক ডাকা হয়৷ বৈঠকে তুমুল ‘বিতর্ক’  দেখাব দিলেও সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে যায় ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ সালের আয়-ব্যায়ের হিসাব৷ যদিও, এই ‘হিসাবে’ বেশ কিছু ‘ত্রুটি’ রয়েছে বলে বৈঠকে ‘অভিযোগ’ তোলেন বনগাঁ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের বেশ কয়েকজন সদস্য৷ আদালতের মধ্যে আইনজীবীদের জন্য তৈরি বাড়ি সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন এক বর্ষীয়ান আইনজীবী৷ সঙ্গে আরও তিন-চারজন আইনজীবী অ্যাসোসিয়েশনের ‘হিসাবে’ অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে৷

আগামী ১৯ অগস্ট বনগাঁ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নয়া কমিটি নির্বাচন রয়েছে৷ মোট ৩২ জন প্রার্থী এদিন নির্বাচনে অংশ নেন৷ একজন সভাপতি, সহ সভাপতি পদে চার জন, সম্পাদক পদে এক ও সহ সম্পাদক পদে চার জন নির্বাচিত হবেন৷ এছাড়াও কোষাধ্যক্ষ, হিসাব পরীক্ষক, অফিস সম্পাদক, লাইব্রেরি সম্পাদক ও চারজন  কার্যকারী সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ার কথা৷ আগামী ১৯ অগস্ট মোট ১১৫ জন আইনজীবী এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন৷

তবে, নির্বাচনের আগে বর্তমান কমিটির পেশ করা বার্ষিক আয়-ব্যায় সংক্রান্ত রিপোর্টে ‘ত্রুটি’র অভিযোগ ওঠায় আইনজীবী মহলে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বেল আদালত সূত্রে খবর৷ এই রিপোর্ট নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ৷ আদালত চত্বরে শুরু হয়েছে কানাঘুষো৷ সূত্রের খবর, নাকি কোনও ‘টেন্ডার’ ছাড়াই সম্প্রসারণ করা হয়েছে ঘর৷ সম্প্রসারণ হওয়া ঘরগুলি কাদের জন্য বরাদ্দ করা হবে, সেই এখন আইনজীবীদের কাছে স্পষ্ট নয়৷ এমনকি, বাড়ি সম্প্রসারণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচের কথা বলা হয়েছে, তাতে ‘ত্রুটি’ রয়েছে বলে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন৷ গত ১৭ অগস্ট ২০১৩ থেকে ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত যে ‘হিসাব’ দেওয়া হয়েছিল, তার নিরিখে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত যে আয়-ব্যায় পেশ করা হয়েছে, তার ওপেনিং ব্যালেন্সে কিছু ‘সমস্যা’ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন আইনজীবীদের একাংশ৷

অভিযোগ, ১৭ অগস্ট ২০১৩ থেকে ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত যে আয় ব্যায়ের হিসাব দিয়ে সংস্থার তরফে পুস্তিকায় প্রকাশ করে ‘১লা জুলাই ২০১৫ তারিখে উৎবৃত্ত ব্যাংকে জমা ৫৭৯৯৮’ রয়েছে দাবি করা হয়৷ কিন্তু, চলতি বছর ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৬-১৭ আয়-ব্যায়ের হিসাবে ‘বিগত কমিটির নিকট হইতে প্রাপ্ত অর্থ ১৬৩২৯টাকা’ বলে দাবি করা হয়৷ কিন্তু, এখানেই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীদের একাংশ৷ তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে আগের কমিটির টাকা বর্তমান কমিটি সবটা হাতে পায়নি? কমিটি হাতবদলের মাঝখানে ‘৪১ হাজার ৬৬৯ টাকা’ ‘হিসাব’ নিয়ে এদিন এই বৈঠকে তুমুল ‘বিতর্ক’ বাধে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী৷
সীমান্ত শহরের হাঁড়ির খবর ~আজ বিকেল ই-পেপার
[left-sidebar]


কোন মন্তব্য নেই: