আগরতলা : রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। এখন সরকারি নির্দেশিকা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরাসরি মন্ত্রী সক্রিয় হয়েছেন।
রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি দফতরে দীর্ঘদিনের কর্মসংস্কৃতি এবং জনগণকে হয়রানি করার প্রথা পাল্টে দিতে রাজ্য সরকার গত ১৫ দিনে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য দফতরে জন-পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে কয়েকটি নির্দেশনামা সচিবালয় থেকে বেরিয়েছে। এর আওতায় রয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সব ধরনের চিকিৎসাকর্মী।
এবার সরকারের নির্দেশিকা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী মাঠে নেমেছেন। শুক্রবার রাতে আচমকা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন জিবি হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন দফতরের সচিব সমরজিৎ ভৌমিক। আচমকা হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়।
রাজ্য সরকার প্রতিদিন রাতে পালা করে হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। প্রথমেই তিনি সংশ্লিষ্টদের হাসপাতালে উপস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে সেবিকা-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
হাসপাতালে মন্ত্রীর উপস্থিতি জানতে পেরে দ্রুত ছুটে আসেন হাসপাতাল সুপার-সহ অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। পরে হাসপাতালে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কয়েক দফা বৈঠক। সুদীপ রায়বর্মন সরাসরি রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ ধরে আলাপ আলোচনা করেন। কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে তার বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।
শনিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সুদীপ বলেন, হাসপাতালে পরিষেবা নিতে বহু দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসেন। কিন্তু সঠিকভাবে পরিষেবা দেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে খামতি থেকে যায়। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। ফলে কোনওভাবেই কারোর খামতি বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকাগুলি সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা এবং সাধারণ মানুষ তা থেকে সুফল পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ছিল। তাই রাতে আচমকা হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সব কিছু সন্তোষজনক না-হলেও পূর্বের তুলনায় অনেক ফারাক যে এসেছে তা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে আরও অনেক সংশোধনের প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি দফতরে দীর্ঘদিনের কর্মসংস্কৃতি এবং জনগণকে হয়রানি করার প্রথা পাল্টে দিতে রাজ্য সরকার গত ১৫ দিনে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য দফতরে জন-পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে কয়েকটি নির্দেশনামা সচিবালয় থেকে বেরিয়েছে। এর আওতায় রয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সব ধরনের চিকিৎসাকর্মী।
এবার সরকারের নির্দেশিকা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী মাঠে নেমেছেন। শুক্রবার রাতে আচমকা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন জিবি হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন দফতরের সচিব সমরজিৎ ভৌমিক। আচমকা হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়।
রাজ্য সরকার প্রতিদিন রাতে পালা করে হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। প্রথমেই তিনি সংশ্লিষ্টদের হাসপাতালে উপস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে সেবিকা-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
হাসপাতালে মন্ত্রীর উপস্থিতি জানতে পেরে দ্রুত ছুটে আসেন হাসপাতাল সুপার-সহ অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। পরে হাসপাতালে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কয়েক দফা বৈঠক। সুদীপ রায়বর্মন সরাসরি রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ ধরে আলাপ আলোচনা করেন। কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে তার বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।
শনিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সুদীপ বলেন, হাসপাতালে পরিষেবা নিতে বহু দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসেন। কিন্তু সঠিকভাবে পরিষেবা দেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে খামতি থেকে যায়। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। ফলে কোনওভাবেই কারোর খামতি বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকাগুলি সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা এবং সাধারণ মানুষ তা থেকে সুফল পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ছিল। তাই রাতে আচমকা হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সব কিছু সন্তোষজনক না-হলেও পূর্বের তুলনায় অনেক ফারাক যে এসেছে তা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে আরও অনেক সংশোধনের প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন