কলকাতা : ইকো পার্কে গুরুতর আহত রিয়ান নায়েককে অবশেষে হাসপাতালের ভেন্টিলেটর থেকে বার করা হল। সোমবার চিকিৎসকরা তার ওপর কড়া নজর রাখছেন।
গত ১ এপ্রিল ৩ বছরের রিয়ান দিদি মণীষা আর বাবা-মায়ের সঙ্গে ইকো পার্কে এসেছিল।
মিকি মাউস স্লাইডে চড়ে ১৩ টি বাচ্চা আনন্দ করছিল। আচমকা কালবৈশাখীর ঝড়ে বেসামাল হয়ে ওরা পড়ে গিয়ে আহত হয়। সবচেয়ে বেশি আহত হয় রিয়ান। এখনও তার বিপদ কাটেনি।
ইকো পার্কে দুর্ঘটনায় জখম রিয়ানকে আগে ভেন্টিলেটর থেকে বার করা হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের ভেন্টিলেটরে ঢোকাতে হয়েছিল। উপর থেকে পড়ে তার দিদি মণীষার শরীরের ডান দিকের অংশে চোটের পাশাপাশি লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’’ তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটা ভাল। তাদের বাবা সুব্রত নায়েক বলেন, ‘‘প্রার্থনা করুন, যাতে আমার সন্তানেরা সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরে।’’
ওই ঘটনায় আচমকা ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়ে রিয়ান-সহ মোট ১০টি শিশু জখম হয়েছিল। চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পাঁচটি শিশুকে দত্তাবাদের কাছে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। রিয়ান-মণীষা ছাড়া অন্য তিনটি শিশুর নাম হল, ঊর্বী শর্মা, জাতিকা শর্মা এবং স্বর্ণিমা কৌশল।
দুর্ঘটনার এক দিন পরে রিয়ান-সহ বাকিদের দেখতে হাসপাতালে যান পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অনির্দিষ্টকালের জন্য ইকো পার্কের সমস্ত রাইড বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। সেগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পরেই পুনরায় রাইড চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
রাইড বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে হিডকো চেয়ারম্যানকে একটি রিপোর্ট জমা করার কথা বলেছেন পুরমন্ত্রী। হিডকো সূত্রের খবর, ঝড়ে রাইড কেন উল্টে গেল, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। ওই রাইডের বরাত প্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাকে সরানো হতে পারে। গাফিলতি প্রমাণ হলে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। দর্শকেরা যাতে নিশ্চিন্তে বাচ্চাদের নিয়ে ইকো পার্কে আসেন তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন পুরমন্ত্রী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন