কলকাতা : “তর্পণের সময় আমরা হিন্দুরা সপ্তদ্বীপবাসিকে জল দিই। কারণ, এই উদারতা রয়েছে আমাদের ধর্মে। এই ধর্মের ভুলটা কোথায়? কিন্তু ইসলাম বলে খালি নিজের ধর্মের কথা!” শনিবার বাংলাদেশ উপদূতাবাস আয়োজিত এক সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে প্রকাশ্যেই এ কথা বলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি-বিষয়ক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
মন্তব্যটা করেই মন্ত্রী মঞ্চে উপবিষ্ট বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী তারানা হালিমের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন, “একমত হলেন না তো! আমি কিন্তু এটাই মনে করি! আর, এই উদারতাই হিন্দু ধর্মের শক্তি।” তারানা এবং তাঁর দু‘পাশে বসা দুই রাষ্ট্রদূত অবশ্য এর প্রতিবাদ করেননি।
অস্বস্তির বাতাবরণ অবশ্য অচিরেই দূর করে দেন শোভনদেব। বলেন, “সঙ্গী যবন হরিদাসের মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ বহন করেছিলেন উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণরা। এটাই হিন্দু ধর্মের ঔদার্য। যে শক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপন্ন করছে, একত্রিত হয়ে তাকে বিনষ্ট করতে হবে। “ শোভনদেববাবু প্রশ্ন করেন, রক্তদান শিবিরে কোনও দিন, কেউ প্রশ্ন করেন, কোন ধর্মের লোকের রক্ত নিচ্ছেন? করেন না। কারণ রক্ত রক্তই। তা যে ধর্মাবলম্বীরই হোক!”
তারানা হালিম বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে কখনও ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত ঘোষণা করেছেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ কোনও পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমঝোতায় চিড় ধরানো চলবে না।
আলোচনার প্রথমার্ধে অপর দুই বক্তার মধ্যে ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দুই শীর্ষ দূত তৌফিক হাসান এবং মোফাকখারুল ইকবাল। সমবেতদের কাছে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছিয়ে দিতে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরান, উপনিষদ, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে চার ধর্মাবলম্বী সংক্ষিপ্ত বাণী পড়ে শোনান। দেখানো হয় তথ্যচিত্র ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’।
মন্তব্যটা করেই মন্ত্রী মঞ্চে উপবিষ্ট বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী তারানা হালিমের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন, “একমত হলেন না তো! আমি কিন্তু এটাই মনে করি! আর, এই উদারতাই হিন্দু ধর্মের শক্তি।” তারানা এবং তাঁর দু‘পাশে বসা দুই রাষ্ট্রদূত অবশ্য এর প্রতিবাদ করেননি।
অস্বস্তির বাতাবরণ অবশ্য অচিরেই দূর করে দেন শোভনদেব। বলেন, “সঙ্গী যবন হরিদাসের মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ বহন করেছিলেন উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণরা। এটাই হিন্দু ধর্মের ঔদার্য। যে শক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপন্ন করছে, একত্রিত হয়ে তাকে বিনষ্ট করতে হবে। “ শোভনদেববাবু প্রশ্ন করেন, রক্তদান শিবিরে কোনও দিন, কেউ প্রশ্ন করেন, কোন ধর্মের লোকের রক্ত নিচ্ছেন? করেন না। কারণ রক্ত রক্তই। তা যে ধর্মাবলম্বীরই হোক!”
তারানা হালিম বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে কখনও ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত ঘোষণা করেছেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ কোনও পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমঝোতায় চিড় ধরানো চলবে না।
আলোচনার প্রথমার্ধে অপর দুই বক্তার মধ্যে ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দুই শীর্ষ দূত তৌফিক হাসান এবং মোফাকখারুল ইকবাল। সমবেতদের কাছে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছিয়ে দিতে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরান, উপনিষদ, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে চার ধর্মাবলম্বী সংক্ষিপ্ত বাণী পড়ে শোনান। দেখানো হয় তথ্যচিত্র ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন