মনোনয়ন কেন্দ্রে বহিরাগত তান্ডব, আক্রান্ত বিজেপির জেলা সম্পাদক - Aaj Bikel
 মনোনয়ন কেন্দ্রে বহিরাগত তান্ডব, আক্রান্ত বিজেপির জেলা সম্পাদক

মনোনয়ন কেন্দ্রে বহিরাগত তান্ডব, আক্রান্ত বিজেপির জেলা সম্পাদক

Share This

দুর্গাপুর  :  মনোনয়ন পর্বের অন্তিম দিনেও অশান্তি অব্যাহত দুর্গাপুরে। চলল বহিরাগত তান্ডব। কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী টপকে মহকুমাশাসক দফতর থেকে কলাট ধরে, গলাধাক্কা দিয়ে টেনে নামানো হল বিজেপির জেলা সম্পাদককে। এলোপাথাড়ি মারধর করে তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের আঙ্গুল সেই তৃণমূলের জিতেন্দ্র তেওয়ারীর নেতৃত্বের দিকে। জবাব চাওয়ায় জিতেন্দ্র তেওয়ারীর রোষের মুখে সাংবাদিকরা। সোমবার নজিরবীহিন ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে।

জানা গেছে, গত শনিবার বিজেপির মনোনয়ন শিবিরে হামলার পাশাপাশি জেলা সভাপতির ভজালি দিয়ে হাত কেটে দেওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুর্গাপুর মহকুমাশাসক চত্ত্বর। ওই ঘটনার সোমবার মনোনয়নের শেষদিন ১৪৪ ধারা জারির সঙ্গে আটোসাঁটো নিরাপত্তা থাকলেও বহিরাগতদের ছিল অবাধ বিচরন। মুখে গামছা বাঁধা অপরিচিত কিছু যুবক অবাধে ঘোরাফেরা করতে থাকে গোটা মহকুমাশাসক ভবন চত্ত্বরে। এদিন দুপুর নাগাদ মহকুমাশাসক দফতরের তপশীলি জাতি-উপজাতির শংসাপত্র নিচ্ছেলেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক ঘনশ্যাম রাম। অভিযোগ ওই সময় একদল বহিরাগত যুবক তিনতলার ওই রুম থেকে জামার কলাট ধরে টানা-হেঁচড়া করে নীচে নামিয়ে আনে।

চলে এলোপাথাড়ি মারধর। তারপরই তাকে রীতিমতো তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছবি তুলতে যাওয়া মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুস্কৃতীরা। পরে মহকুমাশাসক দফতর থেকে প্রায় দু কিলোমিটার দূরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে বিজেপিকর্মী সমর্থকরা। সেখানে বহিরাগত দুস্কৃতীরা ভারি বুট দিয়ে মুখে লাথি মেরেছে বলে অভিযোগ। এবং তাতে ঘন্যশ্যামবাবুর জিভ কেটে যায়। আক্রান্ত বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক ঘনশ্যাম রাম বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর জিভে গভীর কাটা গেছে।

তবে এদিনও গোটা ঘটনার নেপথ্যে সেই তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারী বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষন ঘড়ুই জানান," একই রকমভাবে জিতেন্দ্র তেওয়ারী বহিরাগত সশস্ত্র দুস্কৃতীদের ঢুকিয়ে তান্ডব চালায়। আমাদের মনোনয়নে বাধা দেয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকা স্বত্ত্বেও পুলিশ ছিল নিরব দর্শক।" সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায়সরকার জানান," সাধারন মানুষের টাকায় পুলিশের মাইনে হয়। আর পুলিশ একতরফা শাসকদলের দলদাস হয়ে কাজ করছে।" তবে এদিনও সাংবাদিকদের কড়া প্রশ্নের জবাবে মেজাজ হারিয়ে সাফাই দেন," সবদলকেই স্বাগত। আমরা কোথায় কোন বাধা দিইনি। আপনার রাজনৈতিক নেতার মতো কথা বলছেন। আপনাদের টিকি কোথায় বাঁধা আছে জানি।" যদিও এদিনের ঘটনার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই: