কলকাতা : রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিয়মের শেকলে বাঁধতে সরকারি ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হল বিধানসভায়। অভিযোগের ভিত্তি স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী অধিবেশনে জানান, এর জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৩৮। এই হিসেব দাখিল করে কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো অভিযোগ করেন, “এগুলির ওপর সরকারি নজরদারি হচ্ছে না। নির্দিষ্ট ফিজ-এর হার নেই। বিভাগগুলি ঢিলেঢালা। গবেষণায় অনেক গলদ।”
২০১২ থেকে টেকনো ইন্ডিয়া, সিকম, জেআইসি, নেওটিয়া, ইন্সটিট্যুট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, অ্যামিটি, ব্রেনওয়্যার, সেন্ট জেভিয়ার্স, সিকম, সিস্টার নিবেদিতা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। এই মন্তব্য করে নেপালবাবু বলেন, “জেআইসি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স ছাড়া এদের কেউ নির্দিষ্ট বিধি প্রণয়ন করেনি। সরকারের নানা শর্ত তারা মানছে না। অর্থ বরাদ্দের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করার কথা। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সরকারি দফতরে। তা জমা দেওয়া হচ্ছে না। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও অনগ্রসর শ্রেনির পড়ুয়াদের জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা। কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা হয়নি।”
জবাবি ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনিয়মের অভিযোগের যথেষ্ঠ গুরুত্ব আছে। এর যথার্থতা খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের মর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে একটি সেল করা হয়েছে। ওই সেলের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অনগ্রসর শ্রেনির পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী অধিবেশনে বলেন, “আমরা তো এ রকম ছাত্রছাত্রী খুঁজছি! আপনারা বিধায়করা যদি পান, বলবেন! সে রকম লাগলে এ ধরণের পড়ুয়াদের সংরক্ষণ ১০ শতাংশ করা নিয়ে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে কথা বলবে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন