প্রশাসন চুপ করে থাকবে না, রামনবমী নিয়ে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর - Aaj Bikel
প্রশাসন চুপ করে থাকবে না, রামনবমী নিয়ে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

প্রশাসন চুপ করে থাকবে না, রামনবমী নিয়ে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

Share This


কলকাতা  : কিছু হুজুগে মস্তান গন্ডগোল পাকাচ্ছে, প্রশাসন চুপ থাকবে? এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়, রামের নাম নিয়ে বদনাম করা যাবে না। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে এমনই প্রশ্ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, রাম বলেছিলেন পিস্তল-তরবারি হাতে মিছিল করতে? বাইরে থেকে গুন্ডা আমদানি করে গন্ডগোল পাকানো চলবে না। পুলিশ সমঝোতা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রামনবমীতে রাজ্যের কিছু জায়গায় গন্ডগোল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবেই বিজেপি-আরএসএসকে হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি জানান, অভিযুক্তদের অস্ত্র আইনে কড়া হাতে দমন করার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে| তাঁর কথায়, ধর্মের নামে ব্যবসা চলছে, হিন্দু ধর্ম সর্বজনীন, এই ধর্মে সবাই সবাইকে ভালবাসে, গায়ের জোরে গুন্ডামির ধর্ম দিয়ে কিছু হয় না।

নাম না করে মমতা বলেন, একটা রাজনৈতিক দল ফেট্টি বেঁধে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে, এই নিয়ে ভাবছে ভারতবর্ষ জয় করবে! কিন্তু বাইরে থেকে গুণ্ডা আমদানি করে এ ধরনের ঘটনা চলবে না। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। পুলিশের সতর্কতা ছিল। আইন রক্ষার ঘোষণাও ছিল। কিন্তু সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে রবিবার রামনবমী উপলক্ষে অস্ত্র হাতে দেদার মিছিল বেরল রাজ্যে। বিজেপি বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতেই। যাকে স্বাভাবিকভাবেই ভাল চোখে নিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। আইন ভেঙে যারা অস্ত্র মিছিল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

নবান্ন সূত্রে খবর, অস্ত্র মিছিলগুলির ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, সবকিছু আমরা নজরে রেখেছিলাম। যারা নিষেধ মানেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদতে হিন্দি বলয়ের সংস্কৃতি হলেও রামনবমীকে সামনে রেখে এ রাজ্যে বছর দুই ধরেই কর্মসূচি করছে বিজেপি। রাম জন্মোৎসবের নামে অস্ত্র মিছিল করছে। এনিয়েই সংঘ পরিবার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে অশান্তি বাধে। যার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এবছর তাই আগে থেকেই সতর্ক ছিল প্রশাসন। সশস্ত্র মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যারা বহুদিন ধরে প্রথাগত ভাবে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে আসছে, তারা ছাড়া অন্য কাউকে সশস্ত্র মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক জিষ্ণু বসুও সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনেই মিছিল করার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘনঘটা দেখা গেল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের খড়গপুরের মিছিলে প্রচুর অস্ত্র ছিল। কোথা থেকে এই বিপুল সংখ্যক অস্ত্র এল, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে প্রশাসন। পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এত কম ঋণ কেন দেওয়া হয় কৃষকদের? একইসঙ্গে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, অন্য লোকে ব্যাঙ্কের টাকা নিয়ে পালাচ্ছে, পাচ্ছে না চাষীরা!

কোন মন্তব্য নেই: