কলকাতা : রেলের নিজের কারখানায় তৈরি দুটি আধুনিক ট্রেন কলকাতায় পরীক্ষায় ফেল করল। আট মাস আগে সে দু‘টি পাঠানো হয়েছিল পেরাম্বুরের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) থেকে। কিন্তু পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা ও প্রশ্ন।
ক’দিন আগে দুটো রাত ধরে পরীক্ষা করে দেখা যায় অনুমোদিত সর্বোচ্চ সীমার চেয়েও বেশি বেতার তরঙ্গ উৎপন্ন হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারথের মতে, এ রকম হলে কেবল মেট্রো রেলের সিগনালিং সিস্টেম নয়, মোবাইল ফোন ও টিভি সিগনালও ব্যাহত হবে। ‘ইলেকট্রনিকস-প্রোজেক্ট-ডিজাইন ডট কম’ ওয়েবসাইট বলছে, “অধিকাংশ বৈদ্যুতিন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের কার্যকারিতা বা সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এমিশন টেস্ট ভীষণ রকম দরকার।”
ওই ওয়েবসাই জানাচ্ছে, “ফোন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজের জিনিস ও আধুনিক বিজ্ঞানের প্রযুক্তি— সবেতেই এই পরীক্ষা দরকার। কারণ, মূল যন্ত্র, মানে ট্রেন বা এর কোনও অংশ যাতে ব্যবহারকারীদের কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ব্যবহারের অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়।”
পেরাম্বুরের আইসিএফের কামরা যে এই প্রথম প্রশ্নের মুখে পড়ল, তা নয়। এখন কলকাতা মেট্রোতে যে ১৩টি বাতানুকুল কামরা আছে, নানা সময়ে সেগুলির কার্যকারিতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। চেন্নাই থেকে পেরাম্বুর মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ সংস্থা ‘চেন্নাই মেট্রো’ পেরাম্বুরের আইসিএফ থেকে না করিয়ে ট্রেন করাচ্ছে ব্রাজিলিয় সংস্থা ‘অ্যালসটম’ থেকে।
সূত্রের খবর, বিশ্ব টেন্ডার ডেকে চেন্নাই মেট্রো বরাত দিয়েছে ‘অ্যালসটম’-কে। প্রথম চারটি ট্রেন তৈরি হয়েছে রাজধানী সাও পাওলো-র কাছে তৈরি কারখানায়। বাকিগুলি তারা চেন্নাইতেই তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহলে কলকাতার মেট্রোর বাতানুকুল ট্রেনের জন্য কেন প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূরের কারখানার ওপর এত নির্ভরশীলতা? স্থানী এক কর্তার মতে, “প্রথমত পেরাম্বুরের আইসিএফ নামী ও অভিজ্ঞ সংস্থা। দ্বিতীয়ত এটা এ দেশের।“ তবে আইসিএফ ছাড়াও কলকাতায় এসি ট্রেন আসছে চিনা সংস্থা ডালিয়ান থেকে। ২০১৫ সালে রেল বোর্ড যে বিশ্ব টেন্ডার ডাকে, তাতে ডালিয়ান কলকাতার জন্য ১৪টি বাতানুকুল ট্রেনের বরাত পায়।
মেট্রো রেলের সিগন্যালে রয়েছে লাল-হলুদ-সবুজ তিন রঙ। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আইসিএফের নয়া ট্রেন লাইনে চললে সর্বোচ্চ সীমা ২০ কিলোহারৎজের বেশি তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে। এর কারণ, ট্রেনের অতি আধুনিক ব্যবস্থায় ছাড়ার পর বা থামার আগে, গতি বৃদ্ধি বা মন্থর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিন সার্কিট কাজ করে। এতে বেতার কম্পন তরঙ্গ তৈরি হয়।
তাহলে কি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ট্রেনদু‘টিকে বাতিল করা হতে পারে? জবাবে মেট্রো রেলের এক পদস্থ আধিকারিক 'হিন্দুস্থান সমাচার'-কে জানান, “এখনও আইসিএফ-এর এই দুটি কোচকে গতি এবং থার্মাল পারফরমেন্স— এই দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষায় নোয়াপাড়া ও কবি সুভাষ স্টেশনের মধ্যে ক্রমান্বয়ে, মানে না থেমে ১০ বার ট্রেন চালাতে হবে। নিরাপত্তার দিকটায় আমরা সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিই। পরীক্ষাগুলি হওয়ার পরে সব কিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ক’দিন আগে দুটো রাত ধরে পরীক্ষা করে দেখা যায় অনুমোদিত সর্বোচ্চ সীমার চেয়েও বেশি বেতার তরঙ্গ উৎপন্ন হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারথের মতে, এ রকম হলে কেবল মেট্রো রেলের সিগনালিং সিস্টেম নয়, মোবাইল ফোন ও টিভি সিগনালও ব্যাহত হবে। ‘ইলেকট্রনিকস-প্রোজেক্ট-ডিজাইন ডট কম’ ওয়েবসাইট বলছে, “অধিকাংশ বৈদ্যুতিন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের কার্যকারিতা বা সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এমিশন টেস্ট ভীষণ রকম দরকার।”
ওই ওয়েবসাই জানাচ্ছে, “ফোন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজের জিনিস ও আধুনিক বিজ্ঞানের প্রযুক্তি— সবেতেই এই পরীক্ষা দরকার। কারণ, মূল যন্ত্র, মানে ট্রেন বা এর কোনও অংশ যাতে ব্যবহারকারীদের কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ব্যবহারের অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়।”
পেরাম্বুরের আইসিএফের কামরা যে এই প্রথম প্রশ্নের মুখে পড়ল, তা নয়। এখন কলকাতা মেট্রোতে যে ১৩টি বাতানুকুল কামরা আছে, নানা সময়ে সেগুলির কার্যকারিতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। চেন্নাই থেকে পেরাম্বুর মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ সংস্থা ‘চেন্নাই মেট্রো’ পেরাম্বুরের আইসিএফ থেকে না করিয়ে ট্রেন করাচ্ছে ব্রাজিলিয় সংস্থা ‘অ্যালসটম’ থেকে।
সূত্রের খবর, বিশ্ব টেন্ডার ডেকে চেন্নাই মেট্রো বরাত দিয়েছে ‘অ্যালসটম’-কে। প্রথম চারটি ট্রেন তৈরি হয়েছে রাজধানী সাও পাওলো-র কাছে তৈরি কারখানায়। বাকিগুলি তারা চেন্নাইতেই তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহলে কলকাতার মেট্রোর বাতানুকুল ট্রেনের জন্য কেন প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূরের কারখানার ওপর এত নির্ভরশীলতা? স্থানী এক কর্তার মতে, “প্রথমত পেরাম্বুরের আইসিএফ নামী ও অভিজ্ঞ সংস্থা। দ্বিতীয়ত এটা এ দেশের।“ তবে আইসিএফ ছাড়াও কলকাতায় এসি ট্রেন আসছে চিনা সংস্থা ডালিয়ান থেকে। ২০১৫ সালে রেল বোর্ড যে বিশ্ব টেন্ডার ডাকে, তাতে ডালিয়ান কলকাতার জন্য ১৪টি বাতানুকুল ট্রেনের বরাত পায়।
মেট্রো রেলের সিগন্যালে রয়েছে লাল-হলুদ-সবুজ তিন রঙ। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আইসিএফের নয়া ট্রেন লাইনে চললে সর্বোচ্চ সীমা ২০ কিলোহারৎজের বেশি তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে। এর কারণ, ট্রেনের অতি আধুনিক ব্যবস্থায় ছাড়ার পর বা থামার আগে, গতি বৃদ্ধি বা মন্থর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিন সার্কিট কাজ করে। এতে বেতার কম্পন তরঙ্গ তৈরি হয়।
তাহলে কি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ট্রেনদু‘টিকে বাতিল করা হতে পারে? জবাবে মেট্রো রেলের এক পদস্থ আধিকারিক 'হিন্দুস্থান সমাচার'-কে জানান, “এখনও আইসিএফ-এর এই দুটি কোচকে গতি এবং থার্মাল পারফরমেন্স— এই দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষায় নোয়াপাড়া ও কবি সুভাষ স্টেশনের মধ্যে ক্রমান্বয়ে, মানে না থেমে ১০ বার ট্রেন চালাতে হবে। নিরাপত্তার দিকটায় আমরা সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিই। পরীক্ষাগুলি হওয়ার পরে সব কিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন