দুর্গাপুর : স্মার্ট সিটির পর স্মার্ট ভিলেজ। তার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট প্রযুক্তি। দুর্গাপুর সিএমইআরআইয়ের প্রযুক্তিতে তৈরী হবে স্মার্ট ভিলেজ। আর ওই স্মার্ট ভিলেজ তৈরীর স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন। মঙ্গলবার সিএমইআরআইয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মহকুমার সমস্ত ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে প্রাথমিক কর্মশালা হল। সেখানেই মহকুমার চারটি ব্লকের চারটি গ্রামকে প্রথম পর্যায়ে স্মার্ট ভিলেজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার অন্যতম স্মার্ট সিটি প্রকল্পে তালিকায় রয়েছে শিল্পশহর দুর্গাপুর। স্মার্ট শহরের পর এবার শিল্পনগরী পার্শবর্তী গ্রামে প্রযুক্তির ব্যাবহারে স্মার্ট করার উদ্যোগ নিল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে মহকুমার অন্ডাল, পান্ডবেশ্বর, কাঁকসা ও লাউদোহা ব্লকের একটি করে পিছিয়ে পড়া গ্রামকে 'স্মার্ট ভিলেজ' করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ভিলেজ তৈরীতে পাবলিক সেক্টর গুলির সিএসআর তহবিলের আর্থিক সহযোগিতা নেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন কি থাকবে স্মার্ট ভিলেজে? দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক ও প্রযুক্তি গবেষনাগারে (সিএমইআরআই) বিজ্ঞানির নতুন কিছু প্রযুক্তি আবিস্কার করেছেন। যা শহর ও গ্রামে সুস্থ, দুষনমুক্ত পরিবেশ তৈরীতে কাজে লাগবে।
মঙ্গলবার দুর্গাপুর সিএমইআরআই ইন্সিস্টিউটে মহকুমার সমস্ত ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে প্রাথমিক কর্মশালা হয়। সেখানে বিজ্ঞানীদের নানান প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন করা হয়। তবে স্মার্ট ভিলেজ তৈরীতে ১২ টি প্যারামিটার রয়েছে। সৌর বিদ্যুতের ব্যাবহার, কঠিন ও বর্জ্য নিষ্কাশন করা। পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যাবহার, গ্রামবাসীদের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে। তার সবই সিএমইআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন। যেমন সোলার পাওয়ার ট্রী একটা আস্ত গ্রামকে বিদ্যুত পরিষেবা দিতে পারবে। আইরন, ফ্লুরাইড ও আর্সেনিক মুক্ত প্রকল্প। যা পরিশ্রুত জল সরবরাহ কাজে লাগবে। কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন থেকে তৈরী ইট রাস্তা তৈরীতে কাজে লাগবে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শে স্বল্প খরচে মজবুত গৃহ নির্মাণ হবে।
ইতিমধ্যে স্মার্ট ভিলেজের জন্য লাউদোহা ব্লকের কালিকাপুর গ্রামকে নির্বাচিত করেছেন। সিএমইআরআইএর ডিরেক্টর হরিশ হীরানি জানান," আমরা সমস্ত রকম প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করব।" অন্যদিকে দুর্গাপুর মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান," সমস্ত ব্লক ও পঞ্চায়েত গুলি নিয়ে ফোরাম তৈরী করা হয়েছে। প্রতিমাসে পর্যালোচনা মিটিং হবে। এছাড়াও কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হবে। প্রথম পর্যায়ে চারটি গ্রামকে মডেল হিসাবে করা হবে।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন