কলকাতা : গঙ্গার নীচে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ দেখে এলেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। এই প্রথম রেলের কোনও সর্বোচ্চ আধিকারিক এ রকম স্থানে গেলেন। গঙ্গার নীচ দিয়ে, হাওড়া থেকে মহাকরণ পর্যন্ত গিয়েছে ওই সুড়ঙ্গ।
গঙ্গার নিচে ৫২০ মিটার (১,৭১০ ফুট) দীর্ঘ সুড়ঙ্গ নির্মিত হয়েছে। গঙ্গার গভীরতা ১৩ মিটার মতো। তারও ১৩ মিটার নিচে দিয়ে তৈরী হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ। এর বাইরের পরিধি ৬.১০ মিটার, ভিতরের পরিধি ৫.৫৫ মিটার।
এ দিন সুড়ঙ্গে নেমে কাজের অগ্রগতি দেখলেন অশ্বিনী। সঙ্গে ছিলেন মেট্রো রেল ও তদারকি সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল নিগমের (কেএমআরসিএল) আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান। ২০২০-র মধ্যে টানেল চালু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
২০১৭-র এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গঙ্গার নীচে শুরু হয় এই সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। হাওড়ার দিক থেকে থেকে দু'টি টানেল বোরিং মেশিন সুড়ঙ্গ খুঁড়তে খুঁড়তে গঙ্গার নীচ দিয়ে কলকাতার দিকে এগোয়। গঙ্গার নীচে অন্তত আড়াই মাস ধরে এই মহাযজ্ঞ চলে। বিশ্বের অনেক দেশেই নদী বা সমুদ্রের নীচে এমন সুড়ঙ্গ আছে। তবে, কলকাতা তো বটেই, দেশের মধ্যে এটিই নদীর নীচে প্রথম যান চলাচলের সুড়ঙ্গ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন