কলকাতা : রোইংয়ে সাফল্যের মুকূট কলকাতার ছাত্রীদের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও মৌলনা আবুল কালাম আজাদ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-প্রযুক্তি (‘মাকাউট’) সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার চারটি বিভাগে সোনা পেয়েছে। এই চার বিভাগ হল ২০০০মিটার ফোরস, ৫০০ মিটার, ২০০০ মিটার হেভিওয়েট সিঙ্গল স্কাল এবং ২০০০ মিটার লাইটওয়েট। চন্ডিগড় থেকে এ ভাবেই কলকাতার মুখ উজ্জ্বল করে ফিরল আট কন্যা।
রোইং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা আজকের নতুন নয়। অক্সফোর্ড আর কেম্ব্রিজের মধ্যে টেমস নদীতে যে বার্ষিক বোট রেস হয়, সেটিকে ঘিরে দেখা যায় প্রবল উদ্দীপনা। এ মাসের গোড়ায় চণ্ডীগড়ের সুখনা লেকের প্রতিযোগিতা ঘিরেও ছিল টানটান উত্তেজনা। এতটা উত্তেজনা না থাকলেও রবীন্দ্র সরোবরের প্রতিযোগিতা ঘিরেও থাকে আকর্ষণ।
সোনা পাওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর বিভাগের সেমন্তী চৌধুরী তো রীতিমত উত্তেজিত। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “সবচেয়ে ভাল লেগেছে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে। ওরা সব দিক থেকে অতি দক্ষ।” দারুন খুশি সোনা জিতে আসা আর একজন, ‘মাকাউট’-এর ময়ূরাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে তিনি পড়ছেন হেরিটেজ ইন্সটিট্যুট অফ টেকনোলজিতে।
এক সফল ছাত্রী সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ঐশ্বর্যা কৃষ্ণান। প্রতিযোগিতায় তিনি পেয়েছেন একটা সোনা, একটা রূপো, একটা ব্রোঞ্জ। গোয়ায় আগামী নভেম্বরে হবে জাতীয় প্রতিযোগিতা। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন এক রত্তি মেয়েটি। আছেন দুই বোন শ্রেয়া আর শ্বেতা ব্রহ্মচারী। চন্ডিগর প্রতিযোগিতায় সোনা পেয়ে এঁরা বেজায় খুশি।
সাফল্য অবশ্য সহজে মেলেনি। সকালে তিন ঘন্টা নিরলস অনুশীলন। ক্লাশের পর বিকেলে ফের তিন ঘন্টা। রবীন্দ্র সরোবরই যেন হয়ে উঠেছিল ওঁদের প্রাণের আরাম, আত্মার আনন্দ, মনের শান্তি।তবে চন্ডিগরের ফলাফলেই থেমে থাকতে চান না ওঁরা। এগোতে চান, যত দূর যাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন