মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সোমবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় দুই সচিবের মাধ্যমে অভিযোগ করেন, সূত্র মারফৎ খবর পেয়েছি, স্ত্রী রত্না দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিয়ে বাড়ির দখল নিতে পারে । তাঁর গোলপার্কের বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করার জন্য আবেদনও জানান মেয়র । এর আগে বেহালার পর্ণশ্রী থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুইবার অভিযোগ দায়ের করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ।
এদিকে,মেয়রের বেহালার বাড়িতে চুরি ও হুমকির অভিযোগে পর্ণশ্রী থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয় । সোমবার আলিপুর আদালতে আগাম জামিন পেলেন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় । এদিন, রত্না সহ পরিবারের চার সদস্যর আগাম জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ।
মেয়রের নিরাপত্তাহীনতার দাবির প্রেক্ষিতে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, গোলপার্কের বাড়িটি আদৌ শোভনের নয় । বরং ওই বাড়িতে তিনি নাকি অতিথি হিসাবে থাকেন । মেয়রের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গোলপার্কের বাড়ি দখলের কোনও পরিকল্পনা নেই আমার । বাড়িটি আমার ভাই শুভাশিস দাসের । শোভন ওই বাড়িতে গেস্ট হিসাবে থাকেন’। রত্নার কথায়, ‘বাড়িটি ভাইয়ের । ভাই চাইলে আইনি পথে বাড়ির দখল ফেরত নিতেই পারি, হামলার দরকার নেই’।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরেছে অনেক আগেই । মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাম্পত্য কলহ এখন সংবাদ শিরোনামে । কিন্তু এবার সেই ফাটলে মলম লাগাতে এগিয়ে এলেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় । রত্নার প্রতিক্রিয়া, ‘ও চাইলে ফিরে আসতেই পারে । এখনও আমি শোভনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি আছি । আমি চাই ও ফিরে আসুক’। তিনি আরও বলেন, ‘ওর শুভবুদ্ধির উদয় হোক’। রত্নার এই মন্তব্য ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ঘনিষ্ঠরা । এর আগে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর এক বান্ধবীর বিরুদ্ধে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ, হুমকি ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শোভন ।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা । তার ওপর ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন। সময়টা যে তাঁর খুব একটা ভালো যাচ্ছে না, তা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় । এবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কথা সর্বসমক্ষে বললেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন