কাঠমাণ্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৫০ - Aaj Bikel
কাঠমাণ্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৫০

কাঠমাণ্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৫০

Share This


কাঠমাণ্ডু ও ঢাকা  : নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে, ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের একটি বিমান| স্থানীয় সময় অনুযায়ী সোমবার দুপুর ২.২০ মিনিট নাগাদ পার্বত্য শহর কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে ইউএস-বাংলাদেশ (বাংলাদেশ এয়ারলাইন) সংস্থার একটি বিমান| বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়| বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর‌্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে| গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ২৩ জন| পাশাপাশি বহু যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে| তবে বেসরকারি মতে, বিমান দুর্ঘটনায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে| কারণ এখনও বহু যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না| বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টিআইএ)-এর পূর্ব দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে ইউএস-বাংলাদেশ (বাংলাদেশ এয়ারলাইন) সংস্থার ওই বিমানটি| দুর্ঘটনার পরই কালো ধোঁয়া নির্গত হতে থাকে| দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকল কর্মী ও সেনাবাহিনীর জওয়ানরা|

বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন জন সংযোগ আধিকারিক এ কে এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বিএস ২১১ নম্বর ফ্লাইটটিতে ৪ ক্রু মেম্বার সহ প্লেনটিতে আরোহী ছিলেন ৭১ জন| বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২.৩০ মিনিট নাগাদ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঠমাণ্ডু উড়ে গিয়েছিল বিমানটি| ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের সময় তীব্র ঝাঁকুনি খেয়ে দিক বদলে পূর্ব পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে| এরপর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়| নেপাল প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর‌্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে| গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ২৩ জন| পাশাপাশি বহু যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে| তবে বেসরকারি মতে, বিমান দুর্ঘটনায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে| এয়ার ট্র‌্যাফিক কন্ট্রোল সূত্রের খবর, নোজহুইলে সমস্যা থাকার কারণে হয়তো বিমানটি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে| বিমান দুর্ঘটনার পরই বন্ধ রাখা হয় কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর|

কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে ক্রু মেম্বার সহ মোট ৭১ জন ছিলেন| এর মেধ্য পূর্ণ বয়স্ক ৬৫, পুরুষ ৩৭, মহিলা ২৮ এবং দু’জন শিশু ছিলেন| এঁদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩২, নেপালি ৩৩, মালদ্বীপের একজন এবং চিনের নাগরিক একজন ছিলেন| বাংলাদেশ সরকারের তরফে যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন-তানিয়া তানভীন শশী, পিয়াস, শেখ রাশেদ, কৃষ্ণ কুমার, উম্মে সালমা, আশনা সাকিয়া, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, সারুনা শ্রেষ্ঠ, সৈয়দা কামরুন নাহার, হরিপ্রসাদ, দয়ারাম তহরাখার, বালকৃষ্ণ থাপা, শ্বেতা থাপা, কিশোর ত্রিপতি, আবাদেশ কুমার যাদব, অনিরুদ্ধ জামান, নুরুজ্জামান, রফিক জামান, রিয়ানা আব্দুল্লাহ, পয়বাল আহমেদ, জাকদ আলি, আলিফুজ্জামান, আলমুন নাহার, বিলকিস আরা, শিলা বাজগাইন, বেগম নুরুন্নাহার বিলকিস, আলজিনা বড়াল, চারু বড়াল, আকজারা বেগম, শাহীন বেপারী, শুভিন্দ্র সিং, বসঞ্জিত বহরা, সামিরা বায়ানজানকর, প্রবীণ চিত্রকর, নাসিয়া আফরিন চৌধুরী, সাজানা দেবখোজা, প্রিন্সি ধামি, গায়নি কুমারি গুরুং, রেজকানুল হক, রকিৱুল হাসান, মেহেদী হাসান, এমরানা কবির হাসি, কবির হোসাইনস, দীনেশ হুমাগাইন, সানজিদা হক, হাসানন ইমাম, নজরুল ইসলাম, শ্রেয়া জিলা, পূর্ণিমা লুনানি, মিলি মেহেরজান, নিগা মেহেরজান, সঞ্জয়া মেহেরজান, জেংমিং, অাঁখি মনি, মেহনাজ বিন নাসির, কেসাব পাণ্ডে, প্রসন্না পাণ্ডে, বিনোদ পাউডাল, হরিশঙ্কর পাউডাল, সঞ্জয় পাউডাল, প্রিয়ক, প্রিয় নৈইয়ি, মতিউর রহমান, এসএম মাহৱুৱুর রহমান এবং আশিষ রঞ্জিত| বিমান দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে| এছাড়া বাংলাদেশ থেকে একটি দল নেপাল পাঠানো হচ্ছে| এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিমান পরিবহণ ও পর‌্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল|

কোন মন্তব্য নেই: