নয়াদিল্লি : অবশেষে চূড়ান্ত স্বস্তি| দিল্লি হাইকোর্টে জামিন পেলেন মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত আম আদমি পার্টি (আপ)-র বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খান| দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে দিল্লির মুখ্যসচিব অংশ প্রকাশকে নিগ্রহের অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় আম আদমি পার্টি (আপ)-র বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খানকে| ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ নিগ্রহের অভিযোগে এফআইআর করেন দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশ|
২০ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেফতার করা হয় আপ বিধায়ক প্রকাশ জারওয়ালকে| ঠিক একদিন পর, ২১ ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খানকে| গত শুক্রবার, ৯ মার্চ শর্তসাপেক্ষে আপ বিধায়ক প্রকাশ জারওয়ালের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট| আর সোমবার আপের অপর বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে দিল্লির উচ্চ আদালত| দিল্লি হাইকোর্ট এদিন জানিয়েছে, ‘২০ দিনেরও বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন আবেদনকারী (আমানাতুল্লাহ খান)| আর তাই কাস্টোডিয়াল জিজ্ঞাসাবাদের কোনও প্রয়োজন নেই| আবেদনকারী জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন|’
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির মুখ্যসচিব অংশ প্রকাশ অভিযোগ করেছিলেন, মধ্যরাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে ডাকা হয়েছিল তাঁকে| অংশুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১১ জন বিধায়ক| ঘরে ঘুকতেই একজন বিধায়ক সজোরে দরজা বন্ধ করে দেন| মুখ্যসচিব বসেন দুই বিধায়কের মাঝখানে| সচিবালয় থেকে বিজ্ঞাপনে ছাড়পত্র দিতে কেন দেরি হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন করেন কেজরিওয়াল| অংশুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে আমার উপর চড়াও হন দুই বিধায়ক| আমাকে থাপ্পড়-ঘুসিও মারা হয়| মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় আপের দু’জন বিধায়ক প্রকাশ জারওয়াল ও আমানাতুল্লাহ খানকে| অবশেষে দু’জনই জামিনে মুক্তি পেলেন|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন