ধূমধামে চলছে বাসন্তী পূজা - Aaj Bikel
 ধূমধামে চলছে বাসন্তী পূজা

ধূমধামে চলছে বাসন্তী পূজা

Share This


আগরতলা   : সমগ্র ত্রিপুরায় উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজার অন্তিম দিনে হচ্ছে নবমী পুজো । ষষ্ঠী পুজোর মধ্য দিয়ে দেবীকে বরণ করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও আগরতলা-সহ ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মন্দির, সর্বজনীন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে হচ্ছে বাসন্তী পূজা। বাসন্তী পূজা উপলক্ষে আগরতলার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাবাড়িতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে। দুর্গাবাড়ির সামনে বসেছে মেলাও।

হিন্দুশাস্ত্র মতে, বাসন্তী পূজায় দেবী দুর্গারই আরাধনা করা হয়। বসন্ত ঋতুতে দেবীর পূজা হয় বলে এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। হেমন্ত ঋতুতে দেবী কাত্যায়নী পুজো হয় দুর্গাবাড়িতে। এই সব পূজায়ও শরৎকালের শারদীয় দুর্গাপুজোর মতো ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজা শেষে দশমীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়।

ত্রিপুরা সরকারের দুর্গাবাড়ির বাসন্তী পূজা শারদীয় দুর্গাপূজোর মতোই অনেক বিষয়েই ব্যতিক্রমী। এখানে দুর্গাদেবীর মতই বাসন্তী পূজাতেও দেবীর দুহাত। রাজ আমল থেকেই এমনই হয়ে আসছে। রাজ পুরোহিত দুলাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দেবীর আট হাত থাকে পেছনে লুকোনো। দেখা যায় না। দেবীর দশভুজা রূপ দেখে ভয় পেয়েছিলেন মহারানি। তাই দুর্গা স্বপ্ন দেখিয়ে দুর্গাবাড়িতে দু-হাতের মূর্তিই পূজা করার নির্দেশ দেন। বাকি অষ্টভুজা রূপ নাকি গোপন রয়েছে। তাই অঙ্গহানি হয়নি বলেই রাজ পুরোহিতের দাবি।

ত্রিপুরার দুর্গাবাড়িতে পূজার পুরো বন্দোবস্তই হয় সরকারি কোষাগার থেকে। রাজ্য বিধানসভায় পাস করা বাজেটে উল্লেখ থাকে দেবী পুজোর খরচ। পদাধিকার বলে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক পূজার সেবাইত। ত্রিপুরার ভারত ভুক্তি চুক্তির শর্ত মেনেই এই পূজার ভার বর্তেছে রাজ্য সরকারের ওপর। তাই সরকারের ইচ্ছে বা অনিচ্ছার এখানে কোনও মূল্য নেই।

আগরতলায় দুর্গাবাড়ির বাসন্তী পূজা সরকারি হলেও সাধারণ মানুষও অংশ নেন ভক্তিভরে। তবে রাজবাড়ির দেবী দ্বিভুজ হলেও ত্রিপুরার অন্যত্র দেবী দশভুজাই। এদিকে বাসন্তী পুজোর নবমীদিন আজ কুমারী পুজো হয়েছে আনন্দময়ী মায়ের আশ্রমে।

কোন মন্তব্য নেই: