পুলিশি বাধায় রামনবমীর মিছিল, সহানুভূতি আর সমর্থনের বন্যা সোস্যাল সাইটে - Aaj Bikel
 পুলিশি বাধায় রামনবমীর মিছিল, সহানুভূতি আর সমর্থনের বন্যা সোস্যাল সাইটে

পুলিশি বাধায় রামনবমীর মিছিল, সহানুভূতি আর সমর্থনের বন্যা সোস্যাল সাইটে

Share This


কলকাতা  : নিউ টাউনে পুলিশ আটকালো রামনবমীর মিছিল।আর তাতে ভরে গেল ফেসবুকের কমেন্ট বক্স। অধিকাংশই প্রতিবাদে মুখর । লাইক আর শেয়ারে সহানুভূতি আর সমর্থনের বন্যা । সোস্যাল সাইটে দু ঘন্টায় কয়েকশো সমর্থন বুঝি জনমানসের এক টুকরো প্রতিফলন!

রবিবার দুপুরের পর পুলিশ আটকে দেয় নিউ টাউনে এই মিছিল । ভিডিওর ছোট্ট ক্লিপিংস চলে আসে ফেসবুকে। শুরু হয় প্রতিক্রিয়ার বন্যা । বিশ্বজিত বিশ্বাস লিখেছেন, “হিন্দুদের ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে কি লাভ হচ্ছে দিদি।আপনার এই রাজত্ব হারাবেন।আমি ও আপনাকে ভোট দিয়েছিলাম।কিন্তু আর না।আমার মত হাজার হাজার মানুষ আছে যে আপনাকে ত্যাগ করবে।”

সঙ্ঘমিত্রা বি বর্মণ লিখেছেন, “মোদী আসার পর মানুষের মনে রামভক্তি জেগেছে । ৭০ বছর হিন্দু ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিল। তবে, দেখে ভাল লাগছে ।নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে গেলে এমন অনেক কাজ মানুষকে করতে হয়।” দেবাশীষ নট্ট লিখেছেন, “আপনি কি দিদির ছোট বোন নাকি?” প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে হাসান ইসলাম লিখেছেন, “আই এগ্রি”। মঞ্জু সাধুর সোজাসাপ্তা মন্তব্য, “ঠিক বলেছেন ম্যাম! মোদী এল বলেই হিন্দুদের জয়! জয় শ্রী রাম!” ক্ষিরোদ মোহন মান্নার প্রশ্ন, “তার মনে এতদিন হিন্দুরা অহিন্দু ছিল নাকি?” এর জবাবও দিয়েছেন সঙ্ঘমিত্রা বি বর্মণ।

অপূর্ব দাস লিখেছেন, “হিন্দুধর্মের জন্য যদি মিছিল হয় তবে অসুবিধা কোথায়????? মিছিলে পা মেলানো মানেই তো বিজেপি হয়ে গেল না। ধর্মান্ধতা আর রাজনৈতিক অন্ধত্ব নিশ্চয় এক নয়। তেমন প্রতিবাদী হওয়া আর রাজনৈতিক অন্ধত্বও এক করে ফেলবেন না। কারন ধর্মটা সবার, কিন্তু রাজনৈতিক মত আপনার ব্যক্তিগত। আর প্রতিবাদ করতে হলে দিদি/ দাদা সবার কথা বলুন। কারণ সবাই বোঝে কি হচ্ছে।”

মাসুদ আলম খান মুহম্মদী আবার সঙ্ঘমিত্রা বি বর্মণকে ‘বোন’ সম্বোধন করে লিখেছেন, “রামায়নে বলা হযেছে রাম সনাতন ধর্ম অনুসরণ করতেন। আর সনাতন ধর্ম এর মৌলিক বই বেদ। আর বেদ-এ বলা হযেছে অস্ত্র পুজা মূর্তি বানিযে পুজা এগুলো নিষিদ্ধ। গিযে পডুন যযুর বেদ ৪০/৮/৯ মন্ত্র। এবার বলুন রাম যদি মূর্তি পূজা করতেন তাহলে উনি সনাতন ধর্ম পালন করলেন না। এই জন্য ধর্মের জ্ঞান অর্জন করার ছাড়া ধর্মের সম্পর্কে বলা ঠিক নয়।”
মাসুদ আলম ক্ষিরোদ মোহন মান্নাকে লিখেছেন, “ভাই হিন্দু কোন ধর্মের নাম নয়।” মাসুদ আবার অপূর্ব দাসকে লিখেছেন, “ভাই এখানে হিন্দু মুসলিম এর কথা বলা হয নি। এখানে তোমরা যেটা করছ ধর্ম মনে করে সেটা আদৌ কি বলা হযেছে, এটা ধর্মের অংশ? ভাই পডুন।অন্ধ ভক্ত ভীষণ ক্ষতিকর।"

অরন্য সাহার মন্তব্য, “ উইয়ের পাখা গজায় মরিবার তরে, তোর দিন শেষ হয়ে আসছে বেগমজান। তাই যত উড়া, উড়ে নে। একবার শুধু গদী থেকে নাম.......” নবারুণ দাস লিখেছেন, “শুধু কি শাসক দলের লোকেরা যা করবে তাই ঠিক;আর অন্য রা কেন কিছু করতে পারবে না?” অরিন্দম রহ লিখেছেন, “এটা যদি কোনো মুসলিম সংঘটন এর মিছিল হতো, তাহলে এই পুলিশ কি পারতো মিছিল আটকাতে।“

সন্দীপ আচার্য লিখেছেন, “তাজীয়া মিছিল বেরোলে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ...., টেবিলের তলায় লুকিয়ে থাকে। আর রাম নবমীর মিছিলে হামলা চালায়। তবে পুলিশের দোষ দিয়ে লাভ কিছুই নেই, ওরা শাসকদলের চামচে গিরি করেই পেট চালাচ্ছে।” সঞ্জয় চক্রবর্তী লিখেছেন, “এটা যদি মুসলিম সম্প্রদায়ের মিছিল হতো তাহলে পুলিশ কি পারতো আটকে দিতে, যত দমাতে চেষ্টা!” সঞ্জীব সরকার লিখেছেন, "এটা বাংলা নয়রে, হিন্দুরা মিনি পাকিস্তান, কেনো এসব করিস| দিদির নিয়ম মেনে চলো সবাই আজান দাও, ইদ পালন করো,মহরম করো|"

আবির মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “ধর্ম নিয়েও রাজনীতি। এ বছরে দুর্গাপূজার একাদশীর দিন (বৈদ্যবাটী-শেওরাফুলি ) মহরমের মিছিলে পুলিশের সামনেই অস্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হল। গাড়ির আলো বন্ধ করে গাড়ির চাবি খুলে নেওয়া হল । তখন কি প্রশাসনের হাতে চুরি ছিল.”

সনাতন বিশ্বাস লিখেছেন, “আজকে রামনবমির মহা মিছিল আটকিয়ে লাভ যদি হয়ে থাকে তাহলে একবার তাকিয়ে দেখুন সব যাতির মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে আপনার জবাব দেওয়ার জন্য। ” তুষার মিস্ত্রির মতে, “মমতাজ বেগম যেকদিন ক্ষমতায় আছ কোরে নাও। তোমার শেষ এর শুরু।” আমান কুমার সেন লিখেছেন, “হিন্দু ধর্মে আঘাত করছে। এই ভাবে চলবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চাই।”

সৌরভ ঘোষের কথায়, “ দিদির ভাইরা দিদির কথা শুনে লাফাচ্ছে । মিছিল হবেই । জয় শ্রীরাম।” অনুরাগ ঘোষ লিখেছেন, “ক্ষমতা থাকলে এই কাজটা বহরমপুরে করে দেখুক পুলিশ।” অমিয় কুমার ধীবর লিখেছেন, “ঠিক এমন ভাবে চলতে থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই "মিনি পাকিস্তান" হয়ে যাবে।” অর্নব লাহার মতে, “পুলিশের ... ১১৮ ঘা মারো”। অরন্য বিশ্বাস লিখেছেন, “আদা জল খেয়ে লেগেছে হিন্দুদের উৎসব বন্ধ করার জন্য।”

কোন মন্তব্য নেই: