কলকাতা : ভাঙড় আন্দোলন নিয়ে কবি শঙ্খ ঘোষের অর্জিকে মেনে মুসকিল আসনে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঠিক সাত দিন আগে শঙ্খবাবু ভাঙড় প্রসঙ্গে কড়া মন্তব্য করেন। এর আগে ভাঙড় পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করেছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং নবনীতা দেবসেন৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, শঙ্খ ঘোষ এবং নবনীতা দেবসেন বাম আমলের ‘অপশাসনের’ প্রতিবাদে সরকার বদলের ডাকে রাস্তায় পদযাত্রা করেছিলেন।
গত সোমবার মৌলালি যুব কেন্দ্রে ভাঙড় আন্দোলন সংহতি কমিটির ডাকে নাগরিক সম্মেলনে শঙ্খ ঘোষের লিখিত বিবৃতি পড়া হয়। পাওয়ার গ্রিডের বিস্তার নিয়ে ভাঙড়ের গ্রামবাসীদের সঙ্গে সরকারের সংঘাত প্রসঙ্গে তাতে বলা হয়েছে, 'স্থানীয় গ্রামবাসীরা আজ ধারাবাহিক সংঘর্ষ, খুন, কারাবাস আর পুলিশি নির্যাতনের শিকার। স্বাভাবিক জীবন সেখানে (ভাঙড়ে) আজ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।' তাঁর খেদ ছিল, 'আমাদের গোটা দেশের দুর্ভাগ্য, যে কোনও সঙ্গত দাবি বা বিক্ষোভের প্রকাশকেও সরকার পক্ষ যেন ধরে নেন কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র।' তবে রাজ্য সরকার এখনও কিছু সদর্থক কাজ করছেন বলে আশা রেখে প্রবীণ কবির আর্জি, 'স্বস্তিজনক, মঙ্গলকর' সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর লক্ষ্যে সরকার পক্ষের তরফে চেষ্টা চালানো হবে।”
এদিন ভাঙড় সমস্যা নিয়ে ফের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠক উপস্থিত ছিলেন তিনি। তিনি জানান, শীঘ্রই ভাঙড়ের সমস্যা মেটাতে হবে৷ ডিএম-এসপি বৈঠক ডাকুন৷ গ্রামের মানুষের সঙ্গে আগে কথা বলুন৷ অন্য কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নেবেন না৷ বহিরাগতদের ডাকবেন না৷ গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট দেবেন৷ তারপর সিদ্ধান্ত জানাব৷কবি শঙ্খ ঘোষ বলেছিলেন, ''আমাদের গোটা দেশের এ এক দুর্ভাগ্য যে, সাধারণ মানুষের যে কোনও সংগত দাবি বা বিক্ষোভের প্রকাশকেও সরকারপক্ষ ধরে নেন যেন কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র। স্বচ্ছ দৃষ্টিতে বিষয়টিকে নিয়ে বিবেচনা করার পথগুলি তখন রুদ্ধ হয়ে যায়।''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন