হ্যান্ডলুম শাড়ির লড়াইয়ে প্রথম হওয়ার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ - Aaj Bikel
হ্যান্ডলুম শাড়ির লড়াইয়ে প্রথম হওয়ার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ

হ্যান্ডলুম শাড়ির লড়াইয়ে প্রথম হওয়ার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ

Share This

কলকাতা: হ্যান্ডলুম শাড়ির সর্বভারতীয় নকশার প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লি থেকে শীঘ্র এই সুখবর আসতে পারে বলে মনে করছেন ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এই সঙ্গে এ বার ব্যবসায় রেকর্ড করতে চলেছে এক সময়ে ধুঁকতে থাকা সরকারি সংস্থা 'তন্তুজ'।


২০১৬-'১৭ সালের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী রাজ্যগুলির পাঠানো নমুনার ভিত্তিতে হ্যান্ডলুম শাড়ির নকশার প্রতিযোগিতা হয়। মূলত ‘স্টেট ডিজাইন সেন্টারের’ বস্ত্র-শিল্পীরা নানা রকম নকশা জমা দেন। তা থেকে বাছাই নকশা রাজ্যের তরফে পাঠানো হয় সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায়। স্বপনবাবু ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে জানান, “২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে হ্যান্ডলুমের সর্বভারতীয় বিপনন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ।”

আগেকার দিনে ছাপার শাড়ির মাত্রাধিক চল ছিল। তারপর এল তাঁতের বাজার। এর পর ধীরে ধীরে এক এক করে বালুচরী, তসর, জামদানি, কটকি, ইক্কত, শিফন, সিল্ক, তাঁত বেনারসি, চিকন, জারদৌসি সহ আরও হাজারো রকমের শাড়ি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমান যুগের হ্যান্ডলুম, জুট, কলমকারি, ঘিচা, খেস, টিসু, নেট, ভাগলপুরী, আবির অর্থাৎ বাহা শাড়িও সমানভাবে প্রচলিত ও বেশ জনপ্রিয়। অবশ্য আজকাল অনেকেরই চাহিদা হ্যান্ডলুম শাড়ির।

বাম আমলে লোকসানে চলতে থাকা ‘তন্তুজ’-কে গুটিয়ে ফেলার পরিকল্পনা হচ্ছিল। স্বপনবাবু এই প্রতিবেদককে জানান, “২০০৯-’১০ অর্থবর্ষে সংস্থার আর্থিক লোকসানের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। এখন বাৎসরিক লাভের হিসাবটি হয়েছে কমবেশি ১৩ কোটি টাকা। এ রাজ্যে তৃণমূল সরকার হওয়ার পর লোকসানের মুখ থেকে তন্তুজ-কে ঘুরিয়ে লাভজনক সংস্থার পরিণত করার পরিকল্পনা করা হয়। তাতে সাফল্য মিলেছে।”

তন্তুজের ব্যবসা বাড়ছে কীভাবে? সংস্থার এক কর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, “২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে আমাদের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ কোটি টাকা। বিক্রি হয় ১০৩ কোটি টাকার। পরের বছর এই দুই হিসাব ছিল যথাক্রমে ১২০ কোটি ও ১৪৮ কোটি। ২০১৭-১৮তে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। কতটা ব্যবসা হল, তা জানা যাবে এপ্রিলে। তবে এবারেও আমরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাব।”

ডিজাইনার পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সুখের বিষয় হচ্ছে, দেশে কদর না থাকলেও আমাদের হ্যান্ডলুম নিয়ে কিন্তু ক্রমশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন বিদেশের গ্রাহকরা। ওঁরা রীতিমতো স্টাডি করেন, হাতে বোনা জিনিসের যোগ্য দাম দিতে প্রস্তুত ৷ আজকাল বলিউডের সেলেব্রিটিরাও তাঁতের শাড়ি পরছেন, ‘তুমহারি সুলু’র প্রচারপর্বে বিদ্যা বালনকে দেখা গিয়েছে আমাদের ব্র্যান্ডের জামদানি শাড়ি পরে, ইনস্টাগ্রামের দৌলতে সারা দেশ দেখেছে সে ছবি৷ নামজাদা ডিজাইনাররাও তাঁতিদের সারা বছর কাজ দিচ্ছেন। এগুলোই আশার কথা৷”

কোন মন্তব্য নেই: