সিবিআইয়ের শীর্ষ পদে রদবদল - Aaj Bikel
সিবিআইয়ের শীর্ষ পদে রদবদল

সিবিআইয়ের শীর্ষ পদে রদবদল

Share This

কলকাতা: সিবিআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টর হলেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব ৷ নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টর নিয়োগে সারদা, নারদার মতো মামলার তদন্তে গতি আসবে বলে আশা সিবিআই আধিকারিকদের ৷ জয়েন্ট ডিরেক্টর না থাকায় বহুক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধায় পড়তেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷


এদিকে, নারদকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করতে এদিন টাইগার মির্জার বাড়িতে যান সিবিআই আধিকার্করা ৷ রিপন স্ট্রিটের বাড়িতে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয় ৷ প্রয়াত সুলতান আহমেদের ঘনিষ্ঠ টাইগার মির্জা ৷ এই টাইগার মির্জার সঙ্গেই প্রথম যোগাযোগ করেন ম্যাথু স্যামুয়াল ৷ এর আগে টাইগার মির্জাকে একাধিকবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই এবং ইডি ৷

এর আগেই সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তকারী দলে বড় রদবদল হয় ৷ সিবিআইয়ের দিল্লির সদর দফতর থেকে দুই জন এসপি ও এক জন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছিল গত মাসে ৷ ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম টিমের ছয় সদস্য় ৷ সারদা, রোজভ্যালি সহ ৩০ টি চিটফান্ডের ৩৫ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির তদন্ত করবেন তারা ৷ আগের তদন্তকারীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন স্পেশাল ক্রাইম টিমের এই সদস্যরা ৷ এরই মধ্যে তারা নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে প্রতিটি চিট ফান্ড মামলার কেস ডাইরি দেখেছেন ৷ সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই অফিসেও বিশেষ বৈঠকে বসেন তারা ৷ চিটফান্ড তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েই বৈঠক হয় ৷ বৈঠকে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরাও ৷ তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে । অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । তদন্ত প্রক্রিয়ার অগ্রগতি এবং পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর ।

জানা গিয়েছে, মোট ৩০ টি চিটফান্ড মামলার তদন্ত চলছে ৷ রাজ্যের যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক প্রথমে এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় রাখছে দিল্লি সিবিআইয়ের এই বিশেষ দল ৷ কয়েক দিন আগে তৃণমূলের বিতর্কিত সাংসদ কুণাল ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন সারদা মামলার কাজ এত ধীর গতিতে চলছে ৷ সেই সঙ্গে দিয়েছিলেন আরও বেশ কিছু রিপোর্ট ৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও পালটা চিঠি পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে । চিঠি পাঠিয়ে সিবিআইকে তলব করা হয় ৷ এরই মাঝে সিবিআই থেকে বিধান নগর নর্থ থানায় বেশ কিছু রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় ৷ মাসের পর মাস কেটে গেলেও সেই রিপোর্ট আসেনি বলে অভিযোগ ৷ পরে কিছু রিপোর্ট পাওয়া গেলেও, তাতে খুশি হয়নি সিবিআই ৷ এরপরই ৩৫,০০০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি সিবিআই স্পেশাল টিমকে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ এবার নিয়োগ করা হল নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টরকেও ৷ সারদা, রোজভ্যালি সহ মোট ৩০ টি চিটফান্ড মামলার তদন্ত যৌথভাবে করবে কলকাতা সিবিআই এবং দিল্লি সিবিআই-এর এই ছয় সদস্যের স্পেশাল টিম ৷খুব শীঘ্রই সারদা কাণ্ডের ফাইনাল চার্জশীট জমা পড়ার কথা ৷

অন্যদিকে, এর আগেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ৷ ইতিমধ্যেই, চিটফান্ড ইস্যুতে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আমানতকারীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে । টাকা ফেরত না পাওয়া নিয়েও রয়েছে ক্ষোভ । এবিষয়ে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই শাসকদলের মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ আনা হয়েছে । দিল্লি থেকে বিশেষ টিম পাঠিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সহযোগিতা দুই দিকই বজায় রাখা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ পূর্বাঞ্চলীয় জোনের নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টর আসায় নতুন ভাবে সারদা তদন্ত গতি পাবে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরাই ৷

কোন মন্তব্য নেই: