কলকাতা: এবার আর জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে নয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব হবে বিটি রোড ক্যাম্পাসে। মঙ্গল ও বুধবার হবে এই উৎসব। তিন দশক ধরে রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসব হচ্ছে জোড়াসাঁকোয়। গত বছর প্রায় ৫০ হাজার দর্শক সমবেত হন সেখানে। ভিড়ে নিরাপত্তার অভাবের তীব্র আশঙ্কা ওঠে। বিটি রোডের ক্যাম্পাসের আয়তন বড় হওয়ায় এ বার তাই স্থানান্তরিত হল বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব প্রাঙ্গণ।
প্রতি বছরের মত এবারেও বসন্ত উৎসব এবং বসন্ত মেলা করছেন মনোজ মুরলি নায়ার। তাঁর 'ডাকঘর' গোষ্ঠী শান্তিনিকেতনের আদলে করবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকবে ‘ওরে গৃহবাসী’-র মত প্রাসঙ্গিক নানা গানের ডালা। বুধবার ৪টায় পিসি চন্দ্র গার্ডেনের ‘গোল্ডেন একর’-এ অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে থাকবে রবীন্দ্রনাথের বসন্ত পর্যায়ের গান ও নৃত্য। দ্বিতীয়ার্ধে নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’। মনোজ ছাড়াও থাকার কথা মণীষা মুরলি নায়ার, স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্ত, লোপামুদ্রা, অলকানন্দা রায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের মত শিল্পীরা।
‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’— এই শিরোনামে মঙ্গলবার অনুষ্ঠান করছে প্রেস ক্লাথ, কলকাতা। ওই সান্ধ্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী, সিধু, পরমা, পর্ণাভ, সৌরভ নণি, প্রণতি ঠাকুর প্রমুখ।
বসন্ত উৎসব পালিত হবে আরও নানা স্থানে। অবশ্যই এদিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শান্তিনিকেতন। উৎসবের আবহে সেখানে চলছে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। প্রকৃতির রঙের খেলায় শামিল হতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে প্রচলন করেন বসন্তোৎসব। বাঁকুড়ার ‘বসন্ত যাপন কমিটি’ আয়োজন করছে অন্যরকম এক উৎসবের। দোলের দিন গোটা সকাল জুড়ে থাকবে তাদের বসন্তোৎসব। মল্লরজাদের কুলদেবতা ঐতিহ্যের মদনমোহন মন্দিরের সামনে হবে অনুষ্ঠান। এর অন্যতম মূল উদ্যোক্তা সিপিএম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসা বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। তিনি হিন্দুস্থান সমাচারকে জানান, “এখানকার এই উৎসবে রবীন্দ্রগানের চেয়েও প্রাধান্য পায় স্থানীয় নানা লোকসঙ্গীত। হবে এক দিনের মেলা। সংলগ্ন জেলার মানুষজনও এতে অংশ নেবেন।"
ওডিশি ঘড়ানার নৃত্য শিল্পে দক্ষ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় দিন দুই আগে পালন করলেন বসন্ত উৎসব ২০১৮। কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে এক বর্নাঢ্য সন্ধ্যায় রঙের উৎসব পালন হল। মূল আয়োজক হিসাবে ছিলেন ভারতীয় জাদুঘর, ডোনার স্কুল ‘দীক্ষা মঞ্জরী’ ও ভারতের পর্যটন বিভাগ। এই অনুষ্ঠান নিয়ে ডোনার বক্তব্য “আমরা খুব ভালো সারা পাই আমাদের শহরের উঠতি নৃত্য শিল্পীদের কাছ থেকে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। সবার কাছেই সু্যোগ ছিল। আমরা ৫০ জনকে বেছে নিই দু'দিনের ওয়ার্কশপের মাধ্যমে। পাশাপাশি ছিল আমার ৮০০ জন নৃত্যশিল্পের ছাত্রছাত্রী।” তিনি আরও বলেন আমরা এই রঙের উৎসবের সাথে মিল আছে এমন গানগুলি নিয়েই পরিবেশনা করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন