পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে একটি পাপড়িও ফুটবে না, “মুকুলকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই : পার্থ - Aaj Bikel
পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে একটি পাপড়িও ফুটবে না, “মুকুলকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই : পার্থ

পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে একটি পাপড়িও ফুটবে না, “মুকুলকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই : পার্থ

Share This

বারুইপুর : “ এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পদ্ম কেন পদ্মের একটি পাপড়ি ও ফুটবে না”। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে নিউ ইন্ডিয়ান ক্লাবের মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় | সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির মুকুলে আস্থা প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, “মুকুলকে অত গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই।”

আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ব্লকে ব্লকেই কর্মী সম্মেলন করছেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে নিউ ইন্ডিয়ান ক্লাবের মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় |

এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থ বাবু বলেন, “ এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পদ্ম কেন পদ্মের একটি পাপড়ি ও ফুটবে না”। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির মুকুলে আস্থা প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, “মুকুলকে অত গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই। এ দলে যখন ছিলেন তখন কিছু গুরুত্ব ছিল ঠিকই কারন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা চেয়েছিলেন বলে। আর ও দলে গিয়েছেন আমাদের থেকে নিয়ে কিছু দেবেন বলে। উনি শূন্য দেবেন আর কিছুই নয়। নিজেদের দলে যখন কেউ থাকে না তখন বাইরের লোকের উপরই ভরসা করতে হয়, বিজেপি ও তাই করেছে”।

এই সম্মেলনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। ছিলেন, দমকল ও আবাসন দফতরের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা ও রাজ্য স্তরের বহু তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিনের কর্মী সম্মেলন থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁদের বার্তা, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রত্যকটি বুথে গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে আরও ভালো করে যোগসুত্র তৈরি করতে হবে। দলের পুরনো ও বর্ষীয়ান কর্মীদের সম্মান ও যথাযথ সুযোগ দিতে হবে। যারা দলের এক শ্রেণীর কর্মীদের উপর রাগ করে দল থেকে মুখ ঘুরিয়ে রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিলি নিয়ে যাতে কোনরকম দুর্নীতি না হয় সে দিকে ও নজর রাখতে হবে। দলের মধ্যে থাকা এক শ্রেণীর ধান্দাবাজ কর্মীদের চিহ্নিত করে তাদের সাথে বারে বারে কথা বলে উপজুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই: