ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় হিন্দু সমাজের মধ্যে দিয়ে হয়: মোহন ভগবত - Aaj Bikel
ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় হিন্দু সমাজের মধ্যে দিয়ে হয়: মোহন ভগবত

ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় হিন্দু সমাজের মধ্যে দিয়ে হয়: মোহন ভগবত

Share This

আগ্রা: সমভাবের মধ্যে দিয়েই দেশের উন্নতি সম্ভব| সমাজকে দাঁড় করাতে তাই সমভাবের প্রয়োজন | শনিবার উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় ‘সামাজিক সমরসতা ও একত্রীকরণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে স্বয়ং সেবকদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডা. মোহন ভগবত|


তিনি এদিন বলেন, দেশকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমভাব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ| এর আগে দেশের মধ্যে জাত-পাত, ধর্মের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল| যে কোনও সমাজকে শক্তিশালী করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন একতার| তিনি এদিন বলেন ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় হিন্দু সমাজের মধ্যে দিয়ে হয় | যেখানে বৈচিত্রের মধ্যেও ঐক্য় রয়েছে| আমাদের ভাষা, খাদ্য ও পরিধানের মধ্যে বৈচিত্র থাকলেও আমাদের সংস্কৃতি এক|

ডা. ভগবত বলেন, এই অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ‘সামাজিক সমরসতা ও একত্রীকরণ’ দেওয়া হয়েছে| স্বাভাবিক ভাবেই এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সমাজের মধ্যে সমভাব তৈরি করা| সমভাবের বিষয়ে এদিন তিনি বলতে গিয়ে তিনি উধাহরণ স্বরূপ বলেছেন, ‘যদি কোনও মানুষের শরীরের কোনও অঙ্গ অক্ষম হয়ে যায় তখন সে সাধারণ অন্য মানুষদের মত কাজ করতে পারে না| তাই কাজ করার জন্য শরীরের প্রত্যেক অঙ্গকে ঠিক রাখতে হবে| শত্রুদের সঙ্গে সংঘর্ষ করার জন্য প্রথমে নিজেদের মধ্যে একতা রাখতে হবে| সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আগে এগিয়ে যেতে হবে|

তিনি আরও বলেন, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে নিজের কাজকে ভালবাসতে হবে, তবেই একজন সফল হতে পারবে| শুধু তাই নয়, সফল ব্যক্তিদের অন্য ব্যক্তিদেরকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করতে হবে| তিনি বলেন, এই রকম ব্যক্তিদেরই মহান বলা হয়| শুধু মাত্র নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি মহান হতে পারে না| সমাজের উন্নয়নের জন্য নিঃস্বার্থে মানুষের কাজ করতে হবে| সমাজকে জোড়ার জন্য সঙ্ঘ কাজ করে চলেছে|

তিনি বলেন, যদি সংঘকে জানতে হয় তাহলে শাখায় আসতে হবে| যেখানে ব্যক্তির মনের সমস্ত কুপ্রভাব দূর হয়ে যায়| ভারত মাতার জয় ধ্বনির মধ্যে থেকে শক্তি পাওয়া যায়| তিনি জানান সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্ঘের এক লক্ষ ৭০ হাজার সেবা প্রকল্প নিরন্তর কাজ করে চলেছে| এই সেবা প্রকল্প গুলিতে স্বয়ং সেবকরা নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করছে|

কোন মন্তব্য নেই: