কলকাতা : এক ঝলকে এক সপ্তাহের বিধানসভা জেলে মেয়ে
কংগ্রেসের অসিত মিত্রের প্রশ্ন ছিল সংশোধনাগার নিয়ে। আলোচনায় প্রকাশ্যেই অভিযোগকরলেন, গতএক বছরে জেলে অনেকে মারা গিয়েছে। অনেক বন্দি পালিয়ে গিয়েছে। এ সবনিয়ে মানবাধিকার কমিশন নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে! কেন এই হাল? জমি ছাড়তে নারাজকারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসও। পাল্টা দাঁড়িয়ে বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি,“মানবাধিকার কমিশন একবার নয়, চার বার ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে এ রাজ্যের সংশোধনাগার নিয়ে। বন্দিদের দৈনিক মজুরি ছিল মাথাপিছু ৩০টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ১০০টাকা।” তবে রাজ্যের ছোটবড় সব মিলিয়ে ৩৯টি জেলের মাত্র একটি কেবল মহিলাদের জন্য। তাও খোদ কলকাতায়, আলিপুরে। মন্ত্রী আশ্বাস দেন, বিষয়টি বিবেচনা করাহবে।তাঁর দাবি, সব সংশোধনাগারেই আছে নারী-পুরুষ আলাদা বন্দি রাখার ব্যবস্থা।
জলসাথী
নৌকো বা স্টিমার ডুবলে ব্যাপক হইচই হয়। তদন্ত হয়। সরকার ‘এই হবে, সেই হবে’ বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু জলযান নিরাপত্তার প্রস্তাব থাকে ফাইল বন্দিই। ঘাটগুলিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে জলপথে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে জলসাথী নিযুক্ত করছে রাজ্য সরকার৷ এবার ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭৯টি ঘাটে এই জলসাথী পদে কর্মী নিয়োগ করবে সরকার৷ ঘাটগুলিতে যাতে এসওপি মেনে যাত্রী পারাপার করা হয়, তা দেখাই প্রধান কাজ হবে জলসাথীদের৷ জলসাথী নিযুক্ত করার জন্য টেন্ডার ডেকে এজেন্সি বাছাইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর৷
বনশ্রী মাইতি জানতে চাইলেপরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জলনিরাপত্তায় কী কী হচ্ছে, তার একগুচ্ছফিরিস্তিদেন। জানান, প্রতি ঘাটে মোতায়েন করা হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ‘জলসাথী’।বড় ঘাটে ৩ জন, ছোট ঘাটে ২ জন। জলপথের সুরক্ষা বিধি নিয়ে আগে কোনও নির্দেশিকা ছিল না৷ সেই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে৷ তা বাস্তবায়নে টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে৷ ঘাটগুলিতে যেমন সুরক্ষা বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই ভুটভুটির বদলে সুরক্ষিত জলযানের।
“পশ্চিমবঙ্গকে দেখে শেখো”
২৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে অন্তত একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, সংক্ষেপে সিসিইউ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সরকারি উদ্যোগে ৩৮টি সিসিইউ রয়েছে। সেখানে বেডের সংখ্যা ১৯৩। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাফল্য দেখতে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ থেকে সরকারি আধিকারিকরা কলকাতায় এসেছেন। বিধানসভা অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরপর্বে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে দেখে শিখতে চাইছে মধ্যপ্রদেশ। সরকারি হাসপাতালে সিসিইউ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজ্য যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা দেখতে এসেছেন তাঁরা। এটা প্রমাণ করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন যা করছেন, তাকে অনুসরণ করছে অন্যরা।
স্বামীর স্ত্রী
গীতারানি বিধানসভায় নবতম। তাতে কী? কার স্ত্রী দেখতে হবে তো! স্বামী মানস ভুঁইঞা পরিষদীয় রাজনীতিতে কারও চেয়ে কম যান না। স্ত্রী-কে এ ব্যাপারে শুধু শিখিয়ে পরিয়ে দেওয়া নয়, স্ত্রী-র হয়ে বিধানসভার লবিতে ছাপানো ইস্তেহার বিলি করলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে পিআর করার সময়ে। তার আগে অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের গীতারানি ভুঁইঞা বলেন, দেড়শো বেডের একটি নতুন হাসপাতাল করার জন্য সবংয়ে ১১ একর জমি আছে। সরকার এব্যাপারে কিছু ভাবছে কি? স্বাস্থ্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন