আমপাতি : দুই আসনেই জয়ী হবেন বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মুকুল সাংমা। মঙ্গলবার সকালে আমপাতিতে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোট দিয়ে বাইরে এসে তিনি বলেন, দুটি আসনেই জয়ী হব বলে আমি আশাবাদী। কেবল আশাবাদীই নন, বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করবেন, দাবি মুকুলের। তাছাড়া, মেঘালয়ে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার কংগ্রেসই গঠন করবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাছাড়া, রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তাঁর আমলেই মজবুত হয়েছে। তাই তাঁর ওপর রাজ্যের মানুষের অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। তাই জনসাধারণ হাত ভরে কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দেবেন বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিজেপি-র প্রচারে জৌলুস ছিল ঠিক, তবে ভোটের বাজারে টিকে থাকতে পারবে না তাঁরা। আরও বলেন, ধর্মের জিগির সব রাজ্যে চলে না, মেঘালয়ে তো নয়ই।উল্লেখ্য, ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। সে অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মুকুল সাংমা দুই আসন তাঁর নিজের পূর্ববর্তী আসন ৫৩ নম্বর আমপাতি এবং নতুন ৪১ নম্বর সংসাক। তাছাড়া তাঁর পত্নী ডিকানচি ডি শিরা নিজের আসন ৫৪ নম্বর মহেন্দ্রগঞ্জ এবং ভাই তথা মন্ত্রী জেনিথ এম সাংমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫২ নম্বর রাংসাকোণা কেন্দ্রে। কেবল তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতুষ্পত্নী তথা এমডিসি সাধিয়ারানি এম সাংমাও রয়েছেন প্রার্থীপ্রত্যাশীর তালিকায়। তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৫৬ নম্বর গামবেগ্রে উপজাতি তফশিলি আসন। ১৬ নম্বর পূর্ব শিলং উপজাতি তফশিলি আসনে ফের টিকিট দেওয়া হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত ক্যাবিনেটমন্ত্রী ডঃ (শ্রীমতি) আমপারিন লিংডোকে। রাজ্য বিধানসভার একমাত্র বাঙালি বিধায়ক তথা অধ্যক্ষ আবুতাহের মণ্ডল যথারীতি ৪৬ নম্বর ফুলবাড়ি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন