আজ শেষ প্রচারে ত্রিপুরার মাটি কামড়াতে মরিয়া তৃণমূল - Aaj Bikel
আজ শেষ প্রচারে ত্রিপুরার মাটি কামড়াতে মরিয়া তৃণমূল

আজ শেষ প্রচারে ত্রিপুরার মাটি কামড়াতে মরিয়া তৃণমূল

Share This

কলকাতা: ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটে হাল ছাড়তে রাজি না তৃণমূল কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের ত্রিপুরায় প্রচারে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ রায় বর্মন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এমনিতে ত্রিপুরায় টিএমসির তেমন কোনও অস্তিত্ব নেই। অন্তত বিধানসভায়। তাও বাংলার বাইরে উত্তর-পূর্বের এই বাংলাভাষী রাজ্যে জোড়াফুল ফোটাতে চাইছেন তৃণমূলনেত্রী। সেই আশায় শেষ মুহূর্তেও মাটি কামড়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের দলীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত৷ তবে আদৌ এই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় নানা মহলেই। 


আগামী রবিবার ত্রিপুরায় ভোট। এমনিতে জোটের প্রক্রিয়া সহ আসন রফার জন্য আগরতলায় আগেই পশ্চিমবঙ্গের দলীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে পাঠিয়েছেন মমতা। তিনি চেষ্টা চালিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে সক্ষম না হলেও বাকি দু’টি দলের সঙ্গে জোট করতে পেরেছেন। সম্প্রতি ত্রিপুরার ভোটের নাম দলীয় তহবিলে মোটা অর্থ দাবি করার জন্য ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ এনেছেন বিধাননগরের এক ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার সব্যসাচীবাবুর সঙ্গে আগরতলায় ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে জানা যায়, শেষ মুহূর্তের সমাবেশে সবাই ব্যস্ত। বেলা সাড়ে তিনটাতেও মিছিল চলছে। আজ, শুক্রবার প্রচার শেষ। ব্যস্ততা তাই তুঙ্গে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শমীক চক্রবর্তী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বেদ রায়, মহুয়া মিত্র এবং মানসরঞ্জন ভুঁইঞার মত শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের ত্রিপুরায় প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা।এঁরা সঙ্গী হিসাবে নিয়ে গিয়েছিলেন ঘনিষ্ঠদের। বেশির ভাগই অবশ্য ফিরে এসেছেন। 

এবারের ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে আগ্রহীও ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী রাজি হননি। এআইসিসি সূত্রে খবর, জোটে লড়তে গিয়ে ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় অর্ধেক চেয়েছিল তূণমূল। রাজি হয়নি প্রদেশ কংগ্রেস। সায় দেননি রাহুলও। তাই কংগ্রেসের বদলে দুটি দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে তৃণমূল। এই দুটি দল হল ‘ইন্ডিজেনাস ন্যাশনালিস্ট পার্টি অফ ত্বিপ্রা’ (আইএনপিটি) এবং ‘ন্যাশনালিস্ট সোস্যালিস্ট পার্টি অফ ত্রিপুরা’ (এনএসপিটি)। যেখানে টিএমসি লড়ছে ২৪টি আসনে। ওই দুটি দল প্রার্থী দিয়েছে ১৬টি আসনে। 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ত্রিপুরা বিধানসভার তৎকালীন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন দলের আরও পাঁচজন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। মুকুল রায়ের উদ্যোগে তা হয়েছিল। ত্রিপুরা বিধানসভায় আচমকা ফুটেছিল জোড়াফুল। কিন্তু ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের লাইন অমান্য করে ইউপিএ জোটের প্রার্থী মীরাকুমারের বদলে বিজেপি-এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে ভোট দেন সুদীপবাবু সহ ছজন। এরপরই তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে। ফলে বিধানসভায় টিএমসি প্রতিনিধিহীন হয়ে পড়ে। ফের সেই প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠাতেই এবার রীতিমতো নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে ভোটে লড়ছে তৃণমূল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলে তিনি নিজে প্রচারে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু তা না হওয়ায় সেই পরিকল্পনাও বাদ দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: