কলকাতা : জন্মদিনে পদ্মশ্রী লেখিকা তথা মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীকে স্মরণ করল সার্চ ইঞ্জিন গুগল | আজকের গুগল ডুডলে ৮২ তম জন্মদিনে সাহিত্যের ক্ষেত্রে লেখিকার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় | সেখানে ফুটে উঠেছে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের জন্য তার কাজ এবং বাংলার সঙ্গে তার সংগঠনের চিত্র ।
১৯২৬ সালে আজকের দিনে বাংলাদেশের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন হাজার চুরাশির মা| বাবা মণীশ ঘটক খ্যাতনামা কবি ছিলেন। মা ধরিত্রীদেবী লেখিকা ও সমাজসেবী ছিলেন। ফলে, শৈশব থেকেই সাহিত্য ও রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন মহাশ্বেতা দেবী। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হন মহাশ্বেতা দেবী। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন। সাহিত্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের উপজাতি সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। নন্দীগ্রাম আন্দোলনেও তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
নিজের জীবনকালে ১০০টির বেশি উপন্যাস ও ছোট গল্প লিখেছেন মহাশ্বেতা দেবী। লেখায় তিনি মূলত সামাজিক বিষয়বস্তু ও সাধারণ মানুষ প্রাধান্য দিয়েছেন। পদ্মবিভূষণ পুরস্কার প্রাপক মহাশ্বেতা দেবীর হাজার চুরাশির মা (১৯৭৪, উপন্যাস), অরণ্যের অধিকার (১৯৭৯, উপন্যাস), অগ্নিগর্ভ (১৯৭৮, ছোটোগল্প সংকলন), মূর্তি (১৯৭৯, ছোটোগল্প সংকলন), নীড়েতে মেঘ (১৯৭৯, ছোটোগল্প সংকলন), স্তন্যদায়িনী (১৯৮০, ছোটোগল্প সংকলন), চোট্টি মুন্ডা, তার তীর (১৯৮০, ছোটোগল্প সংকলন) ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
১৯৭৯ সালে ‘অরণ্যের অধিকার’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। ১৯৯৬ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং পরের বছর রামন ম্যাগসাসে পুরস্কার পান তিনি। ২০০৯ সালে, ম্যান বুকার আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্যও তাঁর নাম বাছাই-তালিকায় ছিল। ১৯৮৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষীত হন মহাশ্বেতা দেবী। ২০০৬ সালে পান পদ্বভূষণ এবং ২০১১ সালে পদ্মবিভূষণ। ২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন